উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : বিশিষ্টজনদের অভিমত
এইচ এম নাহিয়ান, এ জেড ভূঁইয়া আনাস : গত ১৬ মার্চ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়ার প্রথমধাপ অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিপিডি) এই ঘোষণা সংক্রান্ত চিঠি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই স্বীকৃতিপত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি পেতে ৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই ২০২৪ সালে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি দিবে জাতিসংঘ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর জন্য বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। টিভিএনএর সাথে একান্ত আলাপে এমনটাই জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি পেতে হলে আরো ৬ বছর পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। সেজন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের শিক্ষা, উন্নয়ন, দুর্নীতি এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই উপলব্ধি আসতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি পেতে আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তাদেরও উচিত হবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের জন্য যেই পরিসংখ্যানগুলো আমাদের সামনে আছে সেগুলো একটি পজেটিভ দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে এসে জাতিসংঘ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রথমধাপের স্বীকৃতি পেলো। এ স্বীকৃতিকে ভিত্তি ধরে সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রই যেন উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশেকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, নিজেদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সবাইকে অনুপ্রাণিত করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদেরকে দীক্ষিত করা। আর তাতেই আমরা সব বাধা সহজেই অতিক্রম করতে পারবো।