একদিন দেখা যাবে দেশের রিকশা চালকদের বড় একটি অংশ গ্রাজুয়েটেড
মাহমুদ হোসাইন
প্রচলিত যে কোটা ব্যবস্থা, আমি তার কট্টর বিরোধী। কারণ, কোটার নামে দেশের কিছু সুবিধাবাদী লোক ফায়দা লুটছে। আমরা রাতভর পড়াশুনা করেও চাকরি পাচ্ছিনা, অপরদিকে কোটার বলে অনেকে অযোগ্য লোকও বড় বড় অবস্থান দখল করছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা কোন বিষয় না। মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সম্মান করি, তাদের স্বরণ করি, তাদের প্রজন্মও তাদের এই ত্যাগের জন্য কিছুটা সম্মান ও সুবিধা পাক সেটা আমরাও চাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কত জন ? যারা সে সময়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তাদের মধ্যে কয়জনই বা জীবিত আছেন। আবার যারা জীবিত আছেন তাদের সবারই কি সন্তানাদি আছে ? যদি ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সকল চাকরিতেই থাকে, তাহলে তো, দেশে সাধারন মানুষের তুলনায় মুক্তিযোদ্ধদের সন্তানই বেশি থাকার কথা। আফসোস হয়, যখন শুনি একটি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বরাদ্দ সিট খালি থাকে। আর আমরা মেধাবীরা পড়াশুনা করেও চাকরি পাইনা। ভালো রেজাল্ট করে, চাকরীর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা পড়াশুনা করেও যদি চাকরি না পাই। তাহলে রিকশা চালানো ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। একদিন দেখা যাবে বাংলাদেশের রিকশা চালকদের বড় একটি অংশ গ্র্যাজুয়েটেড।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : এইচ. এম. মেহেদী