চীন সীমান্তে ভারতীয় সৈন্যদের টহল বৃদ্ধি, সংঘাতের শঙ্কা বাড়ছে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের
সাউথএশিয়ান মনিটর : চীন সীমান্তে ভারতের উস্কানি প্রদান পারস্পরিক আস্থার ভিত্তি নষ্ট করবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সীমান্তে ভারতের সৈন্য মোতায়েন বাড়ানোর পর এ মন্তব্য করেছেন এক চীনা বিশ্লেষক। পিটিআই শনিবার জানিয়েছে, দোকলাম অচলাবস্থার পর চীনের তিব্বত স্বায়াত্তশাসিত অঞ্চল-সংলগ্ন সীমান্তে ভারত আরো সৈন্য মোতায়েন করেছে, টহল ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে।
ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনা তৎপরতার ওপর নজরদারিও জোরদার করেছে ভারত। তারা এ কাজের জন্য হেলিকপ্টারও মোতায়েন করেছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে চীনের বর্ধিত শক্তি বৃদ্ধির জবাবে ভারত ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত নদী ও বরফ ঢাকা পবর্তগুলোর বন্ধুর এলাকাগুলোতে নজর দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সেন্টার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক স্টাডিজের পরিচালক ঝাও গ্যানচেঙ রোববার গ্লোবাল টাইমসকে জানান, সীমান্তজুড়ে ভারত তাদের সামরিক মোতায়েন বাড়ানো অব্যাহত রেখেছে। কারণ তারা কখনো মনে করে না যে সীমান্ত অঞ্চলটি আবার শান্তিপূর্ণ হবে। ঝাও বলেন, ভারত মনে করে, চীনের সাথে সীমান্ত সঙ্ঘাত হবেই। তিনি বলেন, ভারতের উস্কানির ফলে পারস্পরিক আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে, জটিল আঞ্চলিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
তিনি বিশ্বাস করেন, পারস্পরিক সামরিক অবিশ্বাস চূড়ান্তভাবে কূটনীতি, অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ সব খাতে চীন-ভারত সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। রোববার চীন ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬৮তম বার্ষিকী পালিত হয়। চীন সীমান্তে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য রাস্তা, বিমানবন্দর ও সুড়ঙ্গসহ অবকাঠামো নির্মাণ জোরদার করেছে ভারত। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ