আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় পৌর এলাকায় দশ দিনের ব্যবধানে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ১৩ থেকে ১৫ ফুট নিচে নেমে যাওয়ায় ১০ হাজার নলকূপ অচল হয়ে পড়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত শহরের সব থেকে বড় এবং ভয়াবহ সমস্যায় রূপ নিয়েছে পানির তীব্র সংকট। শহরের আশপাশের এলাকায়ও শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি উঠছে না। সেখানে সৃষ্টি হয়েছে সেচ সমস্যা। গত কয়েকদিন পানি নিয়ে এসকল অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীর নাব্যতা হ্রাস ও ভূ-গর্ভস্থ স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন হঠাৎ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় শহরের অর্ধেক নলকূপ অচল হয়ে পড়েছে এবং পৌরসভার পানি সরবরাহ ৩০ শতাংশ কম হচ্ছে। কুষ্টিয়া শহর ঘেঁষে বয়ে গেছে পদ্মার প্রধান শাখা গড়াই নদী। শুষ্ক মৌসুম আসতে না আসতেই গড়াই শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুষ্টিয়ার পদ্মা ও গড়াইয়ের পানি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যার প্রভাব পড়েছে এই অঞ্চলে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকূপ থেকে শুরু করে সব ধরনের নলকূপগুলো অচল হয়ে পড়ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয় ও পুকুরের পানি।
কুষ্টিয়া পৌরসভার পানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার অধিকাংশই ওয়ার্ডই ঘনবসতি। প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। পুরাতন পৌর এলাকায় প্রায় ৫ হাজার এবং বর্ধিত এলাকায় ৯ হাজার টিউবওয়েল রয়েছে।
এই হিসাবের বাইরেও অনেক হস্তচালিত নলকূপ আছে। যার মধ্যে অর্ধেকই বিকল। শুধু নলকূপ নয়, পৌরসভা তাদের সাফলায়ের পানি উত্তোলন করতে না পারায় নাগরিকদের চাহিদা মতো পানি সরবরাহ করতে পারছে না। কুষ্টিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) আবুল কাশেম জানান, কয়েক দিনের ব্যবধানে পানির স্তর ১৩ থেকে ১৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ১৫ ফুট নিচে পানি পাওয়া গেলেও বর্তমানে ২৮ থেকে ৩০ ফুট নিচে পানির লেয়ার যাওয়া যাচ্ছে। পৌরসভার পানি উত্তোলন ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ায় নাগরিকদের ঠিকমতো পানি দিতে পারছে না বলেও স্বীকার করেন এই পৌর কর্মকর্তা। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান