গর্ব করার মত বাংলার নারী নেতৃত্ব!
জুয়েল আইচ
নাম লিখে শেষ করা যাবে না। বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতা, ইলা মিত্র, আরো কতো! ছবি দেখে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে কাকে গভীর শ্রদ্ধা জানাতে এই সামান্য প্রচেষ্টা। আমি বড়ই ভাগ্যবান, তাঁর অকৃত্রিম স্নেহের প্লাবনে দীর্ঘদিন যাবত সিক্ত। তাঁর আঁচলের ছায়া পাওয়ার কী যোগ্যতা আমার! অথচ ‘ মানব কল্যাণে মরনোত্তর দেহদাতা সমিতি’র সভাপতি তিনি, আমাকে মনোনীত করেছেন সেক্রেটারি। নিজ হাতে তিনি রান্না করে খাওয়ান! সত্যিকার মানুষ বানানোর স্কুল, ‘সোনার তরী’ এরং ‘নালন্দা’র আত্মনিবেদিত বিজ্ঞ শিক্ষকদের সামনে আমাকে বক্তৃতা দিতে আহ্বান জানান। কতটা ভরসা। কত বড় সাহস তাঁর! পাকিস্তান আমলে সেনাপ্রধান-প্রেসিডেন্ট ‘ফিল্ডমার্শাল’ আইয়ুব খাঁর আদেশ অমান্য করে রেডিওতে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। গড়ে তোলেন বাংলার সাংস্কৃতিক আন্দোলন! গড়েন ছায়ানটের মত সংগঠন! কতখানি বিশ্বাস ছায়ানটের দুর্দিনে আমার বাঁশী আর জাদু প্রদর্শনীর আয়োজন করেন চ্যারিটির জন্য! তিনি জীবন্ত কিংবদন্তী, সনজীদা খাতুন। আমার আপা। শুভ জন্মদিন আপা। সম্ভব নয় জেনেও বলতে ইচ্ছা করে, চিরজীবী হও আপা। তুমি না থাকলে আমাদের সংস্কৃতি সংকটে পড়ে যাবে।
পরিচিতি : জনপ্রিয় জাদুশিল্পী/ফেসবুক থেকে