নেলসন-উইনির বিচ্ছেদের নেপথ্যে!
আসিফুজ্জামান পৃথিল : দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ শাসকগোষ্ঠীর সদস্যদের সাথে নেলসন ম্যান্ডেলার আপোষের কারণেই বিচ্ছেদ ঘটে নেলসন আর উইনি ম্যান্ডেলার! আর কেউ নয় এমনটা জানিয়েছেন উইনি নিজেই! মৃত্যুর আগে দেয়া শেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির মাতা।
উইনি ম্যান্ডেলা এমন একজন নারী ছিলেন যাকে প্রচ- নির্যাতন সইতে হয়েছে। একই সাথে সইতে হয়েছে নিস:ঙ্গ বন্দীত্ব এবং টানা নজরদারী। কিন্তু স্বামীর মুক্তির পর তাকেও সইতে হয়েছে নিরীহ মানুষদের উপর নির্যাতন করার গঞ্জনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বর্ণবাদী সরকারের সহযোগীদের ‘নেকলেকড’ করার। এটি ছিল নিযাতনের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একজন মানুষকে নগ্ন করে তার গলায় পেট্রোলে ভেজা টায়ার পরিয়ে এরপর আগুন লাগিয়ে দেয়া হতো! উইনি একটি জনসভায় এটিকে সশস্ত্র শত্রুদের মোকাবেলায় একমাত্র অস্ত্র বলে উল্লেখ করেন। এরপরেই নেলসনের সাথে শুরু হয় তার সম্পর্কের টানাপোড়েন।
তবে দুজনের সম্পর্কের চরমতম অবনতি ঘটে শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসানের পর নেলসন ম্যান্ডেলার প্রেসিডেন্ট হিসাবে কর্মকান্ডে।
দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অত্যাচারি শাসকগোষ্ঠীকে মুক্ত করা এবং শ্বেতাঙ্গ ব্যবসায়ীদের কাছে দেশের অর্থনীতিকে ছেড়ে দেয়ায় উইনি তার স্বামী নেলসন ম্যান্ডেলার উপর ক্ষিপ্ত হন।
আর নেলসন ম্যান্ডেলা যখন বর্ণবাদী আমলের প্রেসিডেন্ট এফ ডব্লিউ ডে ক্লার্কের সাথে একসঙ্গে নোবেল পুরস্কার নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাদের সম্পর্কের সেখানেই মৃত্যু ঘটে। এবং তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে চলে যায়। নেলসনই একবার জানিয়েছিলেন সেসময় নেলসন জেগে থাকলে উইনি তার শয়নকক্ষে পর্যন্ত যেতেন না। ডেইলি মেইল