রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, লালমনিরহাট : লালমনি-বুড়িমারী রেললাইনের পাশ থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। যেকোনো মর্হুুতে রেললাইন ডেবে যাওয়ার আশংকায় বর্তমান ঝুঁকিতে চলছে রেল যোগাযোগ।
জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বদৈলজোড় এলাকায় একটি পুকুরে অবৈধভাবে বোমা মেশিন বসিয়ে দেড়/দুই বছর ধরে বালু উত্তোলন করছেন বানভাসা এলাকার এ প্রভাবশালী। ওই পুকুরটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে লালমনি-বুড়িমারী রেললাইন। সেই রেললাইন থেকে মাত্র ১শত গজ উত্তরে বোমা মেশিন বসিয়ে দীঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে রাখা হচ্ছে রেলওয়ে জমিতে। তাছাড়াও আশেপাশের আবাদি জমি ধসে যাচ্ছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একাধিকবার অভিযোগ করায় উপজেলা প্রশাসন অভিযুক্তকে সর্তক করলেও থেমে নেই বালু উত্তোলন। একই স্থানে অবৈধভাবে বোমা মেশিন বসিয়ে প্রায় দেড়/দুই বছর ধরে বালু উত্তোলন করায় পুকুরটি সমুদ্র পরিণত হয়েছে। এঅবস্থায় যেকোনো মহর্ুুতে রেললাইন ডেবে গিয়ে লালমনি-বুড়িমারী একমাত্র রেল যোগাযোগ চলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাছাড়াও প্রতিদিন পূর্বদৈলজোড় থেকে লালমনি-বুড়িমারী লাইনের ওপর দিয়ে বালু বোঝাই ট্রাক ও ট্রলি ঝুঁকিতে পারাপার হচ্ছে। প্রায় সময় বালুবোঝাই ট্রাক ও ট্রলি সেখানে আটকে যায়। সেখানে নেই কোনো গেটম্যান ও প্রতিবন্ধতা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, আমি আমার বাপের নামীয় সম্পত্তি থেকে বালু তুলছি। এতে কারোর কিছুই করার নেই। শুধুমাত্র রেলওলের জায়গায় বালু রাখছি। এতে আবাদি জমি, রেল ও রাস্তা কোন ক্ষতি হচ্ছে না। অন্যান্য জায়গায় শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে, সেখানে কেউ দেখেন না। সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও স্যার নিজেই গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে।
তারপর আবারও মেশিন লাগিয়ে ইউএনও স্যারের নির্দেশে সোহাগকে বালু তুলতে নিষেধ করেছিলাম। আবারও বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। পরর্বতীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশাদুজ্জামান বলেন, বালু ব্যবসায়ী সোহাগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।