কোটার বিন্যাস হওয়া উচিত অর্থনীতির ভিত্তিতে
সৈয়দ হাসান ইমাম
যে কোন দেশেই সমাজের একটি অংশ পিছিয়ে থাকে। তাদেরকে সমানে না নিয়ে আসলে সমাজে অস্থিরতা বাড়ে। যেমন: উপজাতি, সাওতাল, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি। তাদের জন্য কিছুটা কোটা রাখা দরকার, যতদিন না তারা মূল ধারার সমপর্য়ায়ে আসে। যারা দূর্বল শ্রেণী, তাদের জন্য একটা কোটা রাখা উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটার একটা অংশ রাখা উচিত, তাদের আত্মত্যাগের কারণে। সেখানে কত শতাংশ রাখা উচিত সেটাই আলোচ্য বিষয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা নামে যে অমুক্তিযোদ্ধা, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
তারা যাতে এ সুবিধা নিতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি মনে করি, আজকের দিনে অর্থনৈতিক শ্রেণী বিন্যাসের উপরে থাকা উচিত। যারা নি¤œ আয়ের লোক তাদের জন্য একটা কোটা রাখা উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা ধনী তাদের জন্য কোটা রাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তারা পরীক্ষা দিয়ে মেরিট অনুযায়ী যদি পারে চাকরিতে ঢুকবে, না পারলে নাই। যারা গরিব মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সাহায্যের জন্য একটু কোটা সুবিধা থাকতেই পারে। আমার কাছে মনে হয়, কোটার বিন্যাসটা হওয়া উচিত অর্থনীতির ভিত্তিতে। যারা দরিদ্র শ্রেণী, যারা বঞ্চিত শ্রেণী, তাদের জন্য কোটা রাখা উচিত।
পরিচিতি : অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব/মতামত গ্রহণ : এইচ. এম. মেহেদী/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ