গোলাম মাওলা রনি
বর্তমানে দেশের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ এবং আলোচনার বিষয় কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। সরকারি চাকরীতে ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত। তবে সম্প্রতি তা বড় আকারে রূপ নিয়েছে এবং সারা দেশের ছাত্রদের নিবেন। কোটার এই বিষয়টি বিবেচনার কোন বিষয় না, এটা সোজাসুজি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার। তিনি যদি আন্দোলনকারীদের দাবী মেনে নেন তাহলে মেনে নিবেন আর যদি মেনে না নেন তাহলে সোজাসুজি প্রত্যাখ্যান করে বলবেন যে, আমি মেনে নেব না। এর মাঝামাঝি মিলে একটি ফলাফল পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি এটা নিয়ে সময় ক্ষেপণ করা হয় বা কাল ক্ষেপণ করা হয় তবে এটা আরো বিস্তৃতি লাভ করবে। এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রলীগ। কারণ হল, ক্যাম্পাসে যে সকল ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনায় অনেকেই ছাত্রলীগ কে দায়ী করছে। পেপার পত্রিকায় বলছে যে, ছাত্রলীগের মধ্যে দু’তিনটা গ্রুপ হয়ে গেছে। কেউ পক্ষে থাকবে কেউ বিপক্ষে থাকবে। ফলে এই
কোটা পদ্ধতি যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে, তবে সরকার, রাষ্ট্র এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে যতোটা ক্ষত্রিগ্রস্ত হবে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রলীগ। এবং এটা আওয়ামী লীগের জন্য বিরাট দায় সৃষ্টি করবে। কাজেই বিষয়টা, বুলেট আকারে অর্থাৎ যতো দ্রুত সম্ভব, পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক সরকারের এটার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। সরকার যদি বিবেচনা করে এটার পক্ষে, তাহলে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে দু’একদিনের মধ্যে তাদের দাবী মেনে নিতে হবে।
পরিচিতি : সাবেক এমপি, আওয়ামীলীগ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ