সরকার সবকিছুই দেখছে কিন্তু এর কোন বিচার হচ্ছে না
মোশরেফা মিশু
সারা দেশে নারী ধর্ষণ ভয়ানক হারে বেড়ে গেছে। এবং তাদের মধ্যে শিশুরা পর্যন্ত ধর্ষণ হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি একবছর ছয়মাস বয়সী বাচ্চারা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না ধর্ষকদের হাত থেকে। আর চার পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চারা তো অহরহ ধর্ষণের শিকার হচ্ছেই। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী ছাড়াও কয়েকজন মন্ত্রীও কিন্তু নারী। তারা বলেছে, নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, কিন্তু আমি পরিস্কার ভাবে বিশ্বাস করি, নারীর কোন ক্ষমতায়ন হয়নি। নারী নির্যাতন আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। রেপ হচ্ছে, গ্যাং রেপ হচ্ছে। এই রকম পরিস্থিতির সম্মুক্ষিণ হচ্ছে। বার বার ধর্ষণ হওয়ার কারণ হচ্ছে বিচার না হওয়া । আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, এরাও কোন না কোন ধর্ষণের সাথে জড়িত। আজকে যদি ধর্ষণের শাস্তিগুলো হতো, তাহলে কিন্তু আমরা দেখতাম যে, এই ধর্ষণ কমে যেত বা ঘটতো না। কিন্তু আমরা দেখছি যে, ধর্ষণের কোন বিচার হচ্ছে না। আজকে ধর্ষণ করা শুধু নয়, তারা ধর্ষণ করে আবার হত্যাও করছে। এরকম প্রবনতাও দেখা যাচ্ছে। তারপরও এই হত্যাকারীদের, এই ধর্ষণকারীদের কোন রকম বিচার হচ্ছে না। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, দেশের স্পিকারও নারী। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক বলে আমি মনে করি। দেশে যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমেরিকায় আজকে ধর্ষণের জন্য ৩০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। চীনসহ আজকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। এমনকি মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও এরকম একটা ধর্ষণের আইন করা উচিত, কঠোর শাস্তির আইন। আমাদের সরকারী দলের লোকেরাই ধর্ষণ করছে এবং সরকার সবকিছুই দেখছে কিন্তু এর কোন বিচার হচ্ছে না। কঠোর আইন করা হোক এবং ধর্ষণকারী কে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক এবং বহুল প্রচার করুক ধর্ষণের শাস্তি। তাহলে আর ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে না।
পরিচিতি : শ্রমিক নেত্রী / মতামত গ্রহণ : মো.এনামুল হক এনা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ