আন্দোলনের সাথে ভিসির বাড়িতে হামলার কোন সম্পর্ক নেই
জোনায়েদ সাকি
আমাদের সমাজের অগ্রগতির জন্য কিছুটা তো ভোগান্তী হয়-ই। আমাদের প্রতিদিন তো নানা ভোগান্তির কোন শেষ নেই। ছাত্ররা একটা ইতিবাচক লড়াই করছে। একটা ইতিবাচক কাজের জন্য লড়াই করছে । সেটার কারণে মানুষের যদি সাময়িক একটু দূর্ভোগও হয়, আমার মনে হয় মানুষ তা মেনে নেবে। কেননা, অবশ্যই সমাজটাকে পাল্টে দেবে এরা। সরকার এ আন্দোলন কে অপ্রয়োজনীয় মনে করছে, সরকার এ আন্দোলন কে বন্ধ করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা আসলে তাদের দূর্বলতার প্রকাশ। আসলে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের ন্যায্যতা সরকার বুঝতে পারছে না। ফলে এরা আন্দোলন কে এটা বলে ওটা বলে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এমনকি এ আন্দোলনে কোন সহিংসতা নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা সহিংসতা ঘটিয়ে, ভিসির বাস ভবনে আগুন দিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আন্দোলনকারীরা বলছে যে, তাদের আন্দোলনের সাথে ভিসির বাসভবনে হামলার কোন সম্পর্ক নেই । এটা তো সাধারণ কান্ডজ্ঞান থেকে বুঝা যায় যে, আন্দোলনকারীরা একটা দাবী নিয়া আন্দোলন করে যাচ্ছে। তারা ভিসির বাড়িতে কেন আগুন দিবে? তাদের কি কোন কিছু অর্জন হবে? তাদের তো কোন স্বার্থ হবে না। আগুন দিলে তো তারা সরকারের কাছে একটা সহিংস আন্দোলনকারী হিসেবে চিহ্নিত হবে। নানা অভিযোগ করে প্রথম থেকেই সরকার এ আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছে কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না। সারা দেশের মানুষ এবং ছাত্ররা এই আন্দোলনের সাথে আছে। সরকারি দল তো তাদের মিছিল মিটিংয়ে ছাত্রদের নামাতে পারছে না। সেই জায়গায় ছেলেমেয়েরা নিজের তাগিদে মাঠে নামছেন, মিছিলে বের হয়ে যাচ্ছে। এইটা কি সম্ভব নাকি? সেখানে তাদের মিছিলে লোক হয় না। আমরা তো ছাত্র রাজনীতি করি, ছাত্রদের সাথে চলাফেরা আমাদেরও তো হয়। আজকাল ছাত্রদের মিছিল মিটিং খুব একটা শখের না। তারা মাঠে নেমেছে এই ভেবে যে, এই আন্দোলনটা হ্যা,আসলেই আমাদের দরকার।
পরিচিতি : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক /মতামত গ্রহণ : মো.এনামুল হক এনা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ]