• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

ইসলামি চিন্তা

হাফেজে কোরআনের মর্যাদা

প্রকাশের সময় : April 13, 2018, 12:00 am

আপডেট সময় : April 12, 2018 at 9:30 pm

 

মো: আবু তালহা তারীফ

 

রাতের আরামের ঘুমকে হারাম করে দিনকে দিন রাতকে রাত মনে না করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পবিত্র কোরআনের ত্রিশটি পাড়া অন্তরে ধরে রেখেছেন তারা পবিত্র কোরআনের হাফিজ এবং মহান আল্লাহ তয়ালার প্রিয় বন্ধু। তাদের সাথে কোন অবস্থাতে শত্রুতা পোষণ করা ঠিক নহে। সব সময় তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা রাখা উচিত। রাসুল (স:) বলেন, হাফেজে কোরআন মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বন্ধু। যে তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করবে আল্লাহ তার সাথে শত্রুতা পোষণ করবে, আর যে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্টতা রাখবে আল্লাহ তাদের সাথে ঘনিষ্টতা রাখবে। (জামে সগীর)

পৃথিবীতে অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ কেউ মুখস্ত করতে সক্ষম হয়নি এবং হবে না। কিন্তু অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অন্তরে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন বিদ্যমান রয়েছে। অন্তরে বিদ্যমান রত হাফেজের জন্য আল্লাহ জান্নাতে বিশেষ স্থান নির্ধারন করে রেখে দিয়েছেন। রাসুল (স:) বলেন, জান্নাতে  একটি নদী রয়েছে যার নাম রাইয়ান। তার উপর মারজানের একটি শহর রয়েছে। যা সত্তুর হাজার স্বর্ন ও রৌপ্য দ্বারা প্রস্তুত। তা একমাত্র কোরআনে হাফিজদের জন্য নির্ধারন করে রাখা হয়েছে। (কানযুল উম্মাল) অত্যন্ত দু:খ জনক সত্য হচ্ছে এই ঐশী জ্ঞানের ধারক হাফেজে কোরআনদের  কিছু ব্যক্তি তুচ্ছ তাচ্ছিল্যভরে দেখছে। সমাজে হাফেজদের দুর্বল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এক শ্রেণির মানুষ। আবহমানকাল ধরে কোরআনে হাফেজদের প্রতি যে গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা বদ্ধমূল ছিল। তা নষ্ট করার জন্য তারা সর্ব শক্তি ব্যয় করছে। তাদেরকে গরীব বলে অবহেলিত করা হচ্ছে। কিন্তু  মহান আল্লাহর কাছে কোরআনে হাফেজগন ধনী ব্যক্তি এবং  পবিত্র কোরআন সংরক্ষন আল্লাহ তায়ালা হাফিজদের দিয়ে করিয়ে থাকেন।  হজরত আবু যর গিফরী (রা:) হতে বর্ণিত, রাসুল (স:) বলেন, “সবচেয়ে ধনী হল হাফেজে কোরআন যার হৃদয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারীম র্সরক্ষন করেছেন। (কানযুল উম্মাল)

পরিবারের লোকদের মুক্তির জন্য একমাত্র কোরআনে হাফেজ ব্যক্তি সুপারিশ করতে পারবে যা অন্য কেউ পারবে না। হজরত আলী (রা:) হতে বর্ণিত, রাসুল (স:) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করিয়াছে এবং হেফজ করিয়া যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে এবং হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানিয়াছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে দাখিল করিবেন এবং তাহার পরিবারস্থ দশজন লোকের মুক্তির সুপারিশ কবুল করবেন যাহাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল (তিরমিযি শরীফ)

তাছারা কোরআনের হাফেজদের পিতা মাতার সাথে অসম্মানি করা যাবে না। কেননা তাদের পিতা মাতাকে মহান আল্লাহ তায়ালা কবরের আযাব হালকা করে দেন। রাসুল (স:) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন হেফজ করে, তার পিতা মাতার আযাব মহান আল্লাহ হালকা করে দেয়া হয়। যদি তারা মুশরিক হোক না কেন?” (রুহুল বায়ান)

পবিত্র কোরআনের ত্রিশটি পাড়া মুখস্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ একটি বড় নিয়ামত লাভ করেছেন সম্মানিত কোরআনে হাফেজগন। এজন্য তাদেরকেও পবিত্র কোরআনকে সন্মান করতে হবে। কেননা তারা  মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় পাত্র।

 

 

 

 

 

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)