প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার উপর কোন ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না
মোশরেফা মিশু
কোটা সংস্কার করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, কোটা বাতিল করে দিলাম। তিনি বলেছিলেন, কোটা বাতিল না করলে, আবার ছেলেমেয়েরা আন্দোলন করতে পারে। তিনি সরকার প্রধান হিসাবে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল হিসাবে সিদ্ধান্তটি সঠিক দেননি। সরকার যদি বলতেন, শিক্ষার্থীদের যে দাবি, সেটি মেনে নেওয়ার আমরা আশ্বাস দিচ্ছি এবং কোন সেক্টরে এ কোটা কমানো যায় সেটি আমরা বিবেচনা করব, তাহলে সব ছাত্রছাত্রীরা মেনে নিতো। সব মিলিয়ে কোটা ১০ শতাংশ থাকা উচিত। আমাদের সংবিধানে প্রতিবন্ধি যারা, সংখ্যালঘু জাতিদের জন্য কোটা থাকতে হবে। তাদের কথা সংবিধানে বলা আছে। যখন কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করছিলো, তাদের দমন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এমন একটি চালাকি করলেন। কোটার জন্য হাইকোর্টের কোন আইনজীবি কোর্টে রিট করে যদি, কেন এই কোটা বাতিল করা হলো? সংবিধানে এমন কোন কিছু নেই, কোটা বাতিল করা যাবে। তিনি যে কাজ করেছেন সেটি সম্পূর্ণ সংবিধানের বাইরে। কোন আইনজীবি রিট করলে প্রধানমন্ত্রী আটকে যাবেন। যখন কোর্ট কোন সিদ্ধান্ত নিবে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সে নিয়ম মানতে হবে। এখন কোর্ট যদি রোল জারি করে, কেন এই কোটা বাতিল করা হল? কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্রছাত্রীরা যে আন্দোলন করছিল, সে আন্দোলনটাকে সরকার বিভ্রান্ত করেছে। সরকার প্রধান শুধু বলছেন, কোটা বাতিল করে দিলাম কিন্তু আর অন্য কোন কথা বলেননি। এখানে অস্পষ্টতা রয়ে গেল। সরকারের এখানে রাজনৈতিক চাল রয়েছে। এজন্য তার এই ঘোষণার উপর কোন ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিচিতি : শ্রমিকনেত্রী/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ