
সক্রিয় মুসলিম হওয়ার কার্যকরী উপায়
আব্দুল্লাহ আল মামুন
‘সক্রিয় মুসলিম’ ব্যাপারটা অনেকে নতুন শুনছেন। সক্রিয়তার অনেক সংজ্ঞা আছে। অনেকেই বিভিন্ন উপায়ে এটি ব্যাখ্যা করে থাকেন। মূলত সক্রিয়তা হল- ইতিবাচক ধ্রুবক শক্তি, যা আপনাকে পরবর্তী ল্য অর্জনে কার্যকর পদপে নিতে পরিচালিত করে বা উদ্ভুদ্ধ করে। সক্রিয়তা একটি সহজ পদেেপর নাম। এটি এমন একটি গুণ, যা অর্জন করার পর কোন কাজ সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত আপনার মধ্যে অস্থিরতা চলতে থাকবে। সেেেত্র সক্রিয় মুসলিমের অর্থ দাঁড়ায়, ইসলামের বিধি-বিধান মেনে সর্বদা সচল থাকা এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা।
আজকে তুলে ধরা হলো সক্রিয় মুসলিম হত্তয়ার জন্য সেরা ১০টি পন্থা বা উপায়। আপনি এর উপর ভিত্তি করে নিজের জীবন অথবা একটি পারিবারিক বা সামাজিক জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারবেন। ইসলাম পালনে পরিপূর্ণতা অর্জনেও সহায়তা করবে এই বিষয়গুলো।
আন্তরিক ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধি করুন : সক্রিয় মুসলিমের েেত্র একটি নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা বলে ‘উদ্দেশ্য দৃঢ় করার পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম করুন।’ এই নীতিমালা একজন সক্রিয় মুসলিমের জীবনের আদর্শ হতে হবে। ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা থাকার পাশপাশি একজন ব্যস্ত মানুষ হিসাবে পরিবারের যতœ নেওয়া, অন্য সদস্যদের সঙ্গে সুন্দর ও স্বচ্ছে অভিপ্রায় মনে রেখে আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবহার করা, নমনীয়তার সঙ্গে সব বিষয়ে ছাড় দেওয়া, কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করা এবং বাবা-মা, শ্বশুর-শ্বাশুরিকে এক রকম চোখে দেখা। তাহলেই ইসলাম ও মুসলিমদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য আসবে।
সর্বদা সক্রিয় থাকুন : জীবনের প্রতি গভীরভাবে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে জীবনই আমাদেরকে শেখাবে সক্রিয় হতে। সক্রিয় হওয়ার মানে এই নয় আপনাকে খুব বেশি ব্যস্ত হতে হবে। প্রকৃতপক্ষে ব্যস্ততার মতো কাজে থাকতে হবে। অলস প্রকৃতিটাকে ইসলাম পছন্দ করে না। বিশেষ করে আপনার এলাকায় আপনার সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত যা আপনার সামগ্রিক জীবনের ল্য অর্জনে সহায়ক হবে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি ব্যক্তিগত ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। লেখালেখির মাধ্যমে বা বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে জীবনকে উপভোগ করবেন। সক্রিয়ভাবে এ কাজগুলো করলে আত্মার প্রশান্তি আপনার হৃদয়ে বাসা বাধবে। আপনি দিন দিন একজন খাঁটি মুসলিম হয়ে উঠবেন। কর্মঠ ও সক্রিয় হওয়া সফল মুসলিমদের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি।
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন : অবশেষে বলবো একজন সক্রিয় মুসলিম হতে হলে আপ্রাণ চেষ্টা করার সঙ্গে আল্লাহর উপর সব বিষয়ে ভরসা করতে হবে। সবসময় ল্য রাখতে হবে যেকোন অর্জনে সফলতা কেবলমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে আসে। কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।’ (সুরা মায়েদা-২৩) সুতরাং আল্লাহর উপর ভরসা করে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সমাজে অবদান রাখতে হবে। সব কাজে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওপর নির্ভর করতে হবে। ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবেই।
