• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

ইসলামি চিন্তা

হিজরী সালেই বাংলা নববর্ষ : আমাদের করণীয়   

প্রকাশের সময় : April 20, 2018, 12:00 am

আপডেট সময় : April 19, 2018 at 9:28 pm

মো: আবু তালহা তারীফ

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস ও ঐতিয্য মুসলমানদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ইরানের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ফতুল্লাহ শিরাজী ভারত বর্ষের মোঘর সম্্রাট আকবরের নির্দেশে মানুষের খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য ফসলি সন প্রনয়ন করার জন্য চিন্তা ভাবনা আর গবেষনা করে হিজরী চান্দ্র বর্ষপঞ্জকি  সৌর বর্ষপঞ্জিতে রুপান্তরিত করেন। ৯৯৮ হিজরী মোতাবেক ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে সম্্রাট আকবর এ হিজরী সৌর বর্ষপজ্ঞীর প্রচলন করেন। তিনি ঊনত্রিশ বছর পূর্বে তার সিংহাসন আরোহনের বছর থেকে এ পজ্ঞিকা প্রচলনের নির্দেশ দেন। এজন্য ৯৬৩ হিজরী সাল থেকে বঙ্গাব্দ গননা শুরু হয়। পূর্বে বঙ্গে প্রচলিত শকাব্দ বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস ছিল চৈত্র মাস। কিন্তু ৯৬৩ হিজরী সালের মুহাররাম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস তাই বৈশাখ মাসকে  বঙ্গাব্দ বা বাংলা বছরের প্রথম মাস ধরা হয় আর মহরমের প্রথম তারিখ হল বৈশাখের প্রথম দিন। আমাদের হিজরী সালের সাথে সম্পর্কিত  আমাদের নববর্ষ উদযাপন কেমন হতে পারে সেই ব্যাপারে সেই ব্যাপারে অজ্ঞ। আজ আমরা বাঙ্গালী হয়ে আমাদের ঐতিয্যকে হারিয়ে ফেলার অপেক্ষায় রয়েছি। আজ আমরা ভূলে গেছি আমরা নববর্ষের মূল উদ্দেশ্যের কথা,আমাদের পিছু টানে থাকায় শূন্য স্থানটিতে দখল করে সেখানে আজ হচ্ছে ইসলাম বহিভূত কর্মকান্ড সহ অপসাংস্কিৃতির এক মিলন মেলা। আমরা যদি আমাদের এলাকার যুবকদের নিয়ে বর্ষবরনের দিনে  ইসলামী মাহফিল,হামদ -নাতে রাসুল(সা.) সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারি তাহলে সমাজের ছেলে মেয়েরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাধ্যমে বর্ষবরন উৎসব পালন করতে পারায় বিধায় অপসংস্কৃতি ও পাাপ কর্ম থেকে বিরত থাকতে পারবে। এই দিনে আমরা যদি মসজিদে দশ মিনিট এলাকার যুবুকদের নিয়ে  আলোচনা করে দুইটি হাত তুলে প্রভূর দরবারে মোনাজাত করি যেন প্রভূ আমাদের গত বছরর সমস্ত ইবাদত কবুল করে নেয়।  জানা অজানা যত পাপকর্ম নিজের অনিচ্ছায় করেছি তা যেন প্রভু ক্ষমা করে দেয়। তিনি যেন এই বছর শিলা বৃষ্টি,অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি,কালবৈশাখী ঝড় প্রাকৃতিক দূর্যোগ অতিরিক্ত বন্যা ও  বজ্রপাত থেকে যেন আমরা রক্ষা পেতে পারি সেই প্রার্থনা করি তাহলে নববর্ষে আপসংস্কৃতি থাকতে পারে বলে মনে হয় না।

আমাদের ঐতিয্য বাংলা বছরের প্রথমদিনের কথা জানিয়ে দিই অন্যেদের নিকট কিভাবে উদযাপন করা যায় এই দিনটি। আমাদের ঐতিহ্যকে সঠিকভাবে চর্চা  করতে না পারায় যারা অন্য পথে এগুচ্ছে তাদেও ঘৃণা না কওে উচিত ফিরানো যা রাসুল (সা.) করেছিলেন, তিনি কখনো কাউকে ঘৃণা করেননি কোন কারো অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান করেননি তিনি তাদের সঠিক কথা দ্বারা মানুষকে বুজিয়েছেন আর তার কথায় মানুষগুলো অপসাস্কৃতি ছেড়ে দিয়ে ইসলামসী সাংস্কৃতিতে যুক্ত হয়েছে।  মানুষের মধ্যে নৈতিকতা শিক্ষা পেয়েছে মানুষ শিখছে একে অপরকে ভালবাসতে। আসুন নববর্ষ সম্পর্কে সঠিকবানী অন্যদেও জানিয়ে দেই, পাপকর্ম থেকে মানুষকে বাচিয়ে তোলার চেষ্টা করি মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,হে ঈমানদারগন তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবারের লোকদেরকে আগুন থেকে বাচাও’।(তাহরীম-৬)।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)