ভিসির বাড়িতে হামলার সাথে আন্দোলনকারীদের সম্পৃক্ততা নেই
প্রভাষ আমিন
কোটা সংস্কার আন্দোলন করার রাতে ঢাকা ভার্সিটির ভিসির বাড়িতে যখন হামলা হয়, তখন পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ভিসির বাড়িতে ছিলেন। তার বাড়িতে সব সময় যে কয়জন করে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন থাকে সেখানে সেইরাতে প্রশাসন ছিলেন। কিন্তু কিছু মুখোস ধারী ব্যক্তিরা যখন হামলা চালায়, তখন সেখানে যে কয়জন পুলিশ ছিল, সে হামলা ঠেকানোর মত পুলিশ পর্যাপ্ত ছিল না। সে হামলা ঠেকানোর জন্য আরো পুলিশ এবং আরো প্রস্তুতি থাকার দরকার ছিল। হামলাটি করা হয়েছিল পরিকল্পিত ভাবে। ভিসির বাড়িতে হামলার সময়ে পুলিশেরা ছিলেন কিছু শাহবাগ থানার সামনে, যাদুঘরের সামনে, টিএসসির সামনে, যে কারণে ভিসির বাড়িতে পুলিশ পর্যাপ্ত পরিমানে ছিল না। যে কারণে ৩-৪ জন পুলিশ দিয়ে হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এই কয়জন পুলিশ দিয়ে ভিসির বাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা যদি সম্ভব হতো, তাহলে বাকি পুলিশ দিয়ে পুরো ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত। ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা সংস্কার করার জন্য আন্দোলন করছিল, সেখানে ভিসির বাড়িতে ভাংচুর করার কোন সম্পর্ক নেই। কারণ, ভিসির কোটা সংস্কার করার ক্ষমতা নেই, কোটা বাতিল করার ক্ষমতা নেই। তাহলে ভিসির বাড়িতে কেন প্রত্যেকটি ফার্নিচার এবং প্রত্যেকটি জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ? এমনকি বাথরুমের কমোড পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। যে সিসি ক্যামেরা ছিল প্রত্যেকটি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজটা খুলে নিয়ে গিয়েছে। যারা এ ধরণের কাজটি করেছে, সেটি সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিত ভাবে করেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা কোটার জন্য ভাল চাকরি পাচ্ছে না। এ জন্য তারা আন্দোলন করছে। এই সব ছাত্রছাত্রীরা ভিসির বাড়িতে কখন ভাংচুর করবে না। কোটা সংস্কার ছাত্রছাত্রীদের হেয় করার জন্য কোন রাজনৈতিক ভাবে উপচার্যের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এর আগে কখনও এমন হামলা হয়নি। এই প্রথম একটি হামলা হয়েছে, এই হামলাতে ভিসিকে অপমান করা হয়। আমার মনে হয়, অন্যকোন শক্তি কোটা সংস্কারকে নষ্ট করার জন্য, তাদের আন্দোলনকে হেয় করার জন্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য এটা করেছে।
পরিচিতি : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ / মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ