গোটা বিশ্ব শেখ হাসিনা সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে
ড. অনুপম সেন
বিশ্বের যেসব বড় নেতা আছেন, যারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের পাশে শেখ হাসিনার নাম আসাকে ভালো দিক হিসেবেই দেখতে হবে। বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক দিয়ে ছোট, কিন্তু ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখ হতো না কোথাও। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পন্ডিত যারা অর্থনীতি নিয়ে যারা আলোচনা করেন, তারা দেখতে পাচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার এবং মানুষের জীবনমান আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আগে বাংলাদেশের প্রায় ঘরেই বিদ্যুৎ থাকতো না। বর্তমানে দেশের ৮৪% ঘরেই বিদ্যুৎ আছে যেটি আমাদের অসাধারণ অর্জন। কিন্তু আমাদের পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এখন পর্যন্ত এ সফলতা অর্জন করতে পারেনি যদিও শ্রীলংকা করতে পেরেছে। বাংলাদেশ এরকম অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে বা হয়েছে বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের নারী শিক্ষার হার অত্যন্ত বেড়েছে। আজ থেকে ৩ বছর আগে আমি নিজেই আমাদের শিক্ষার বৈষম্য নিয়ে লিখেছিলাম। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সবখানেই নারী শিক্ষার হার পিছিয়ে ছিল। আগে বাংলাদেশ খাদ্যের জন্য অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতো, এরপর ২০০০ সালে বাংলাদেশ প্রথম খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়। এখানে কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার ছিলেন, তার অর্জনের ভান্ডার অনেক বড়। সেজন্যই তাকে বিশ্বের ১০০জন ক্ষমাতাধর নেতার মধ্যে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। আরো অনেক ক্ষেত্রেই বলা যায় যে, খাদ্য সুরক্ষা আওয়ামী লীগের ৯৬, ২০০৮ সালে প্রথম সামাজিক সুরক্ষা করা হয়। সমাজের অপারগ ব্যক্তিদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এগিয়ে আসে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক লক্ষ পরিবারকে প্রায় মাস ব্যাপি গ্রুপিং করে খাওয়ানো হয়েছে। আমাদের দেশে সামাজিক সুরক্ষা ছিলো না। আমাদের দেশে এখন অনেক বই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষমতার অর্থ আপনি আপনার ক্ষমতা দিয়ে দেশকে পরিচালনা করতে পারবেন। ১৯৭১ সালে যখন দেশ স্বাধীন হয়, তখন জনসংখ্যা ছিল ৭.৫ কোটি। খাদ্য উৎপাদন হতো ১ কোটি মানুষের। এখন দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটির কাছাকাছি, খাদ্য উৎপাদন হয় ৪ কোটির। মিষ্টি জলের মাছ উৎপাদনে আমরা এখন বিশ্বের ৪র্থ। সবজি উৎপাদনে ৩য়। এ সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন দেখার মত। সকল বিষয় বিবেচনা করেই শেখ হাসিনা সরকারকে বিশ্ব আজ স্বীকৃতি দিয়েছে।
পরিচিতি : উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগ/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ