সাড়ে ৩ লাখ লোকের জন্য ৩ জন চিকিৎসক’
আব্দুর রহমান, শার্শা (যশোর) : সাড়ে ৩ লাখ লোকের জন্য মাত্র ৩জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, এ হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসারের পদ সংখ্যা ২২টি থাকলেও খাতা কলমে ৮জন, বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩জন। বাকিরা কেউ ছুটিতে আবার কারোর ছিল ডে-অফ। গত ৩মার্চ থেকে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উনœিত হলেও কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বহি.বিভাগে রোগীদের টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ডাক্তার না থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালটিতে একমাত্র এক্সরে মেশিনটি প্রায় ১ বছর ধরে নষ্ট। নেই কোনো গাইনি বিভাগ। অপারেশন থিয়েটার নষ্ট থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরীব ও অসহায় রোগীদের বাধ্য হয়ে ৩৬ কিলোমিটার দূরে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয়। গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টার সময় হাসপাতালে গিয়ে এক মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছাড়া আর কোন ডাক্তারকে দেখা যায়নি। গতকাল শনিবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডা. আক্তার মারুফকে সকাল ৮টা থেকে ডিউটি করার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। এ বিষয়ে ডা. আক্তার মারুফ’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরি বিভাগে আমার ডিউটি করার কথা ছিল, কিন্তু এ সময় আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এনাম উদ্দিনকে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। আমি বেলা ২টার সময় আসব। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এনাম উদ্দিন বলেন, জরুরি বিভাগে আমার কোনো ডিউটি করার কথা ছিল না। এছাড়া জরুরি বিভাগে মেডিক্যাল অফিসারের ডিউটি করার নিয়ম নেই। আমরা যেটুকু করি তা অনুরোধ ক্রমে। সেখানে শুধু মাত্র একজন সহকারী মেডিক্যাল অফিসারের ডিউটি করার নিয়ম আছে।হাসপাতালে বহি.িবভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী তাসলিমা জানান, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ৫ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে বসে আছি। এখন বেলা ১১টা বাজলেও ডাক্তার দেখাতে পারিনি।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অশোক কুমার সাহা জানান, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় খাতা-কলমে উন্নতি হলেও কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পর্যাপ্ত ডাক্তার ও জনবলের অভাবে আমরা জনগণকে চাহিদামত সেবা দিতে পারছি না। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান