এরকম হলে আর কেউ কি সাহস করে অন্যায়ের প্রতিবাদে এগিয়ে আসবে?
ডা. তাজুল ইসলাম
১।কাউন্সিলিং এর জন্য মেয়েগুলোকে মধ্যরাতে হল অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে- আমরা কাউন্সিলিং কাউন্সিলিং করে কত চিৎকার করে আসছি (“ মন ও মানুষ “-অনুষ্ঠানে আমি “ নিজের সাইকোথেরাপি নিজে দিন” – নামে ভিডিও সিরিজ তৈরি করছি) কোথাও তেমন সাড়া নেই। আর মধ্য রাতে মেয়েগুলোকে কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করে মহৎ কাজ করেও নিন্দাবাদ কেবল দুষ্ট লোকেরা করতে পারে
( ম্যাম – আমার ঐ ভিডিও সিরিজটি কি সকল ছাত্রীদের দেখানোর ব্যবস্থা করা যায়?)
২। এতোদিনে (এতোক্ষণে) অরিন্দম কহিল বিষাদে-
শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা বের কেউ কেউ গর্ত মাথা বের করে হুক্কা হুয়া ডাকে জানান দিচ্ছে – আমরা ও আছি
৩। মজারে মজা—
ক) কেন মেয়েদের মধ্য রাতে বের করতে হলো, জানতে চাইলে প্রভোস্ট বলেন- আমরা মেয়ে-ছেলেতে পার্থক্য করি না( প্রকৃত নারী স্বাধীনতায় ববিশ্বাসী লোকের ককথা। তবে সন্ধার পর মেয়েদের হলের বাইরে থাকা নিষেধ থাকবে)
খ) একই প্রশ্ন করলে মাননীয় ভিসি স্যার বলেন- রাত-দিন আবার কি (হক কথা)
গ) পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে ছাত্র নেতারা কেন বসে আছেন, জানতে চাইলে উত্তর – পড়াশোনা করতে এসেছি (এমন ভালো কাজকেও বদনামী দেওয়ার মতন লোকের অভাব দেখছি না)
৪। গত পরশু দেওয়া আমার পুরনো (বাসি) কিছু মন্তব্যের অংশ বিশেষ :
প্রথমত কারো ব্যক্তিগত প্রোফাইল চেক করা আইন সম্মত কি-না?
এটি ব্যক্তির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের মতন অপরাধ কিনা? স্বয়ং জাকারবার্গকে এরকম তথ্য পাচারের জন্য কঠোর জবাবদিহি করতে হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ সাইবার অপরাধ হলে সেটির তদন্ত কে করবে ও কোন ধরনের অপরাধ তা সুনির্দিষ্ট করে সনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে তড়িঘড়ি শাস্তি দেওয়া যায় কি?
তৃতীয়তঃ আইন প্রয়োগকারী সংস্হার হওয়ার কথা বাদী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়ার কথা অভিভাবক হিসেবে এই ছাত্রীদের পক্ষে ডিফেন্ড করা।
সর্বোপরি কি এমন মারাত্মক অপরাধ গেলো যে মধ্য রাতে হল বের করে দিতে হবে?
ভিসি স্যার তদন্তের কথা না বলে, বিনা প্রমাণে ছাত্রীদের আসামি বলা শুধু বেআইনি কাজই নয়, অভিভাবক হিসেবে গুরুতর দায়িত্ব স্খলন নয় কি?
ইয়াসিন— যে সর্ব প্রথম এ ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল, সে নাকি এখনো নিজ হলও রুমে ফিরতে পারেনি। এরকম হলে আর কেউ কি সাহস করে অন্যায়ের প্রতিবাদে এগিয়ে আসবে?
পরিচিতি : মনোবিদ/ফেসবুক থেকে