• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

ইসলামি চিন্তা

শবে বরাতের ফজিলত কি ভিত্তিহীন?

প্রকাশের সময় : April 27, 2018, 12:00 am

আপডেট সময় : April 26, 2018 at 9:14 pm

 

 

মাহফুয আহমদ

 

আজকাল আমাদের কোনো কোনো বন্ধু কারও কারও কথা শুনে কিংবা কিছু কিছু লেখা দেখে সংশয়ে পড়েন যে, আদৌ পনেরো শাবানের রাত্রির কোনো ফজিলত বা বিশেষত্ব আছে কি না। বাস্তব কথা হলো, শাবানের পুরো মাসটাই ফজিলতপূর্ণ এবং বরকতময়। নবীজি (সা.) এ মাসের বরকত কামনা করে দোয়া করতেন। রমজান মাসের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে তিনি বেশি বেশি রোজা রাখতেন। হজরত আয়িশা (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) রমজান ছাড়া কখনও পূর্ণ কোনো মাস রোজা রাখতে আমি দেখিনি। আর শাবান মাসে তিনি যেভাবে অধিকহারে রোজা রাখতেন, বৎসরের অন্য কোনো মাসে এমনটা করতেন না।’ (সহিহ বোখারি: ১৬৮৬, সহিহ মুসলিম: ১৯৫৬) হজরত উসামা ইবনে জায়দ (রা.) নবীজিকে শাবান মাসে অধিক রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষ এ মাসের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। অথচ এটি এমন একটি মাস; যখন আল্লাহ তায়ালার নিকট বান্দাদের আমলনামা পেশ করা হয়। অতএব আমি চাই,আমার আমলনামা এমন অবস্থায় পেশ করা হোক; যখন আমি রোজাদার।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২১৭৫৩, নাসায়ি: ২৩৫৭)

এরকম নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতকে এই মাসের একটি রাত সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তখন দোয়া কবুল হয়। হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। অতপর শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া তার সমগ্র সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

আজকাল আমাদের যে সকল বন্ধু এ সম্পর্কে সংশয় সৃষ্টি করে চলছেন, তারা যেসব মনীষীর অনুসরণ  ও অনুকরণ করে থাকেন; তাদের সেই সব বরেণ্য আলেমও কিন্তু পনেরো শাবানের রাত্রির ফজিলত আছে বলে স্বীকার করেছেন এবং এ সংক্রান্ত হাদিস গ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ এখানে কয়েকজনের উদ্ধৃতি পেশ করা হলো:

১. শায়খুল ইসলাম হাফিজ ইবনে তাইমিয়া রহ. (মৃ. ৭২৮ হি.) বলেন, ‘পনেরো শাবানের রাতের ফজিলত সম্পর্কে একাধিক ‘মারফ’ হাদিস এবং সাহাবিদের ‘আসার’ বা উক্তি বর্ণিত হয়েছে। এগুলো দ্বারা ওই রাতের ফজিলত ও মর্যাদা প্রমাণিত হয়। সালাফে সালিহিনের কেউ কেউ এ রাতে নফল নামাজের ব্যাপারে যতœবান হতেন। আর শাবানের রোজার ব্যাপারে তো সহিহ হাদিসসমূই রয়েছে। কোনো কোনো আলেম যদিও এই রাতের ফজিলত অস্বীকার করেন; কিন্তু হাম্বলি ও অহাম্বলি অধিকাংশ আলেমই এই রাতের ফজিলতের কথা স্বীকার করে থাকেন। ইমাম আহমাদ (রহ.) এর মতও তা-ই। কেননা এর ফজিলত সম্পর্কে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে এবং এগুলোর সমর্থনে সালাফ (সাহাবি ও তাবিয়ি) এর উক্তিও বিদ্যমান আছে; যেগুলো ‘সুনান’ ও ‘মুসনাদ’ শিরোনামে সংকলিত হাদিসের কিতাবে (বরং কতক ‘সহিহ’ শিরোনামের কিতাবেও যেমন সহিহ ইবনে খুযায়মা, সহিহ ইবনে হিব্বান প্রভৃতিতে) রয়েছে।’ (দেখুন: ইকতিজাউস সিরাতিল মুসতাকিম, ২/৬৩১, মাকতাবাতুর রুশদ, রিয়াদ, এ বিষয়ে তার আরো উক্তি জানতে দেখুন: মাজমুউল ফাতাওয়া, ৩/১৩১-১৩২)

২. মুহাদ্দিস আবদুর রাহমান মুবারকপুরি রহ. (মৃ. ১৩৫৩ হি.) বলেন, ‘শাবানের পনেরো তারিখের রাত্রির ফজিলতের ব্যাপারে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে; যেগুলোর সমষ্টি থেকে বুঝা যায় যে, এর একটা ভিত্তি রয়েছে।’ তিনি এ সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা এ রাতের ফজিলত ভিত্তিহীন বলে মনে করেন তাদের বিরুদ্ধে এসব হাদিস অকাট্য দলিল।’ (দেখুন: তুহফাতুল আহওয়াজি শারহু সুনানিত তিরমিজি, ৩/৪৪১-৪৪২, দারুল ফিকর, বয়রুত,১৩৯৯ হি.)

৩. বর্তমান সময়ের আমাদের সালাফি বন্ধুগণের নন্দিত মুহাদ্দিস, মরহুম শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানি (মৃ. ১৪২০ হি.) পনেরো শাবানের রাত্রির ফজিলত বিষয়ক একটি হাদিস সম্পর্কে ‘সহিহ হাদিস’ বলে মন্তব্য করেছেন। (দেখুন: সিলসিলাতুল আহাদিসিস সাহিহা, ৩/১৩৫, হাদিস: ১১৪৪, শাবাকা)

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)