‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট হবে জনকল্যাণমুখী ও ব্যবসাবান্ধব’
শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট হবে জনকল্যাণমুখী ও ব্যবসাবান্ধব বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশের বাজেট এখন চার লাখ কোটি টাকা যা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে খুলনা বিভাগের অংশীজনদের সাথে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ‘বাজেট আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে আয়করের সীমা আড়াই লাখ টাকার পরিবর্তে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা যায় কিনা তা বিবেচনাধীন আছে। তিনি মোংলা বন্দরকে আরও গতিশীল এবং মোংলা কাস্টমস হাউজকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে ২৭ প্রকারের অধিক পণ্য আমদানি ও সকলক্ষেত্রে সাফটা নিয়ম একই করারও ঘোষণা দেন। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমদানির উপর বেশি জোর না দিয়ে রফতানির ওপর গুরুত্বও দিতে বলেন। তিনি জানান, এ বাজেটেও মূল্য সংযোজন করের ফ্লাট রেট ১৫ শতাংশ না হয়ে বর্তমানে বিদ্যমান বিভিন্ন সেবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন হার থাকছে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে জানান, যশোরকে কর অঞ্চল করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সদস্য (শুল্ক নীতি ও আইসিটি) মো. ফিরোজ শাহ আলম, সদস্য (কর নীতি) কানন কুমার রায় এবং সদস্য (মুসক নীতি) মো. রেজাউল হাসান। স্বাগত বক্তৃতা করেন, কর আপীলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক। এসময় বিভিন্ন বিভাগের সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতারা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট আলোচনায় বক্তারা করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকায় নির্ধারণ, ভ্যাটের হার বৃদ্ধি না করা, মংলা বন্দরে আমদানি পণ্য নির্ধারণ করা, ভোমরা স্থল বন্দরে সাপটা কার্যকর করা, কর আইন সম্পর্কে দক্ষদের ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেয়া, কর প্রদান পদ্ধতি সহজ করা এবং সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান। সম্পাদনা : আবদুল্লাহ মজুমদার