আবদুল্লাহ আল শাহীন
এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, যদি মেয়ের বাবার বাড়ি ওইসব উপহার না দেওয়া হয় তাহলে শ্বশুর বাড়ির মানুষ অনেক রকম কথাবার্তা বলে, ফলে মেয়েকে লজ্জায় পড়তে হয়। সংসারে অশান্তি হয়। পত্রপত্রিকায় নানা সময় দেখা যায়, গৃহবধূরা আত্মহত্যা করেন।
এই আত্মহত্যা উপহার নামের এই অপসংস্কৃতির জন্যও থাকে। পারিবারিক অশান্তির অন্যতম কারণও এই উপহার। অথচ, গ্রামে-গঞ্জে এমনও দেখা গেছে যে, জ্যৈষ্ঠ মাসে ছেলের শ্বশুরবাড়ি আসা হাজার হাজার টাকার ফলমূল গুরুকে খেতে দেওয়া হচ্ছে। যাইহোক, উপহারের নামে এ জুলুমের অপসংস্কৃতি রোধে যুব সমাজকে জাগ্রত হতে হবে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদেরকে এসবের কুফল সম্পর্কে বোঝাতে হবে। সমাজকে বুঝতে হবে, এটা একরকম যৌতুক। সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি কী সেটা সকলকে জানতে হবে ভালো করে। যুব সমাজকে কাজ করতে হবে সমাজ অপসংস্কৃতি বিদায় করতে।
লেখক : শারজাহ, ইউএই থেকে/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ