নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় ইলিশ ধরার আনন্দ
জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর : জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিলো। লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা ছিলো সরকারের।
এ সময় নদীর মাছ ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ পরিবহন বাজারজাতকরণ ও মজুদ নিষিদ্ধ ছিল। সোমবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা ফের মাছ শিকারে নেমেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় জেলেদের মাছ শিকারের উৎসব শুরু হয়েছে। এখন আর বাধা নেই। শত-শত নৌকায় হাজার-হাজার জেলে ছুঁটছেন মেঘনায়। ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে এখানকার প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি জেলে এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঘাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম। জেলে পল্লিতে আনন্দের জোয়ার। যারা রাতে মাছ শিকারে নেমেছেন তাদের শিকার করা মাছ সকাল থেকেই স্থানীয় বাজারে আসতে শুরু করে। লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার মেঘনাপাড়ে খোঁজ-খবর নিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
তবে নিষেধাজ্ঞার পরে প্রথম দিনে তেমন একটা ইলিশের আমদানি নেই আড়তগুলোতে। মাছের পরিমাণ বাড়তে আরো ৪-৫ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আড়তদাররা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন তারা। শুধু মাছ ধরাই একমাত্র পেশা হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার দিনগুলোতে অলস সময় পার করতে হয়েছে তাদের। ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে, তারা আশা করছেন এবারও প্রচুর মাছ ধরা পড়বে তাদের জালে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার দায়ে বেশ কয়েকজন জেলের জেল-জরিমানা হয়েছে। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে কয়েক লাখ মিটার কারেন্ট জাল। জব্দকৃত জাটকা বিতরণ করা হয়েছে এতিমখানায় ও গরিবদের মধ্যে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ফের নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন। আশা করি তাদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান