মো. জহির আলী রবিন
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত একবার নবী কারীম (সা.) বললেন, তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে? সাহাবারা উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলই ভালো জানেন। রাসূল (সা.) বললেন গীবত হলো- তুমি তোমার মুসলমান ভাইয়ের অনুপস্থিতে তার সম্পর্কে এমন কিছু বলবে যে, সে তা শুনলে অসন্তুষ্ট হবে। অতঃপর হজুর (সা.)- কে প্রশ্ন করা হলো হে আল্লাহর নবী! আমি যা কিছু বলব তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে ও কি তা গীবত হবে? নবী কারীম (সা.) বললেন, যা কিছু তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যদি তা তার মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে সেটাই গীবত হবে। আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে সেটা হবে অপবাদ। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন (আর তোমরা একে অপরের গীবত করো না, তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোস্ত খেতে ভালবাসে? আর তা তোমরা অবশ্যই অপছন্দ কর) সুরা-আল হুজরাত-১২
মুমিনের কোনো দোষ ক্রটির প্রতি শুভাকাক্সক্ষীর দৃষ্টি দিয়ে ইশারা করা হয়, তা হলে সে খারাপ মনে করবে না। এমনিভাবে তার ক্রটি সম্পর্কে তার দায়িত্বশীলদের অবহিত করলে তাও সে অপছন্দ করবে না। কেননা তার সংশোধনের জন্য এটাও একটা পদ্ধতি। কিন্তু যদি তাকে সমাজের হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তার অনুপস্থিতিতে তার দোষ ক্রটি বর্ণনা করা হয়ে তাহলে এটা তার জন্য মনে কষ্টের কারণ হবে। অবশ্য কোনো ব্যক্তি যদি প্রকাশ্যে আল্লাহর নাফরমানি করে এবং কোনো অবস্থাতেই আল্লাহর বিধান না মানে, সেক্ষেতে তার দোষক্রটি প্রকাশ করে দেওয়া গীবতের মধ্যে গণ্য হবে না বরং তা হবে খুবই সওয়াব এর কাজ হবে। রাসূল (সা.) এ কাজের আদেশ করেছেন। এ ধরনের লোকের পরিচয় প্রকাশ করে দিলে সমাজের লোকেরা জেনে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে এবং তার অনুসরণ থেকে বিরত থাকবে।