মুনশি মুহাম্মদ আবু দারদা
ভালোবাসা এক পবিত্র জিনিস যা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর পক্ষ থেকে আমরা পেয়েছি । ভালোবাসা শব্দটি ইতিবাচক, আল্লাহ তা’আলা সকল ইতিবাচক কর্ম-সম্পাদনকারীকে ভালোবাসেন। ভালোবাসা শব্দটি আল্লাহ নিজেই চয়ন করছেন। কোরআনে ইরশাদ, হে রাসূল (সা.) আপনি বলে দিন, যারা আমি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায় তারা যেনো আপনাকে ভালবাসেন অর্থাৎ সমস্ত কাজে সুন্নতের অনুসরণ করে চলে। আর ভালোবাসার মানদ- কাউকে ভালোবাসা এবং কারো সাথে শত্রুতা রাখার মানদ- হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। হাদীস শরীফে আছে যে, ব্যক্তি আল্লাহর জন্য দান করে, যে আল্লাহর জন্য নিষেধ করে, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য রাগ করে সে যেনো তার ঈমানকে পরিপূর্ণ করলো। এক কথায় আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইরে কোন কাজ না করা। কাউকে ভালোবাসবেন তাও যেনো আল্লাহর জন্য হয়, কারো প্রতি রাগ করবেন তাও যেনো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়। কিন্তু আজ মানুষ কোরআন হাদীস ভুলে গিয়ে নিজের মনমতো চলতে শুরু করেছে। পৃথিবীটা যেমন স্বার্থপর তেমনি এই পৃথিবীর মানুষ গুলোও স্বার্থপর হয়ে গেছে। কেউ কাউকে নিঃস্বার্থে ভালোবাসে না। কাউকে ভালোবাসলে মনে করবেন কোন স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্য আছে।
তাই কেউ বলেছিল স্বার্থপর বন্ধু থাকার চাইতে বন্ধুহীন থাকা ঢের ভাল। বন্ধু তো আত্মার আত্মা। কিছু মানুষ আছে যারা বন্ধুত্বের বেশ ধরে নিজের স্বার্থটা আদায় করে।
তাই এমন স্বার্থপর বন্ধুকে অজান্তে ভালবেসে অনেক ভুল করছেন। এই পৃথিবীতে স্বার্থপর মানুষের পাশাপাশি অনেক নিঃস্বার্থ মানুষও রয়েছে। যারা কিনা আপনার মনের কদর করতে জানে। স্বার্থপর মানুষদের কৌশলে এড়িয়ে ঐ সমস্ত নিঃস্বার্থ মানুষের সঙ্গে সময় কাটান। বন্ধুত্ব গড়ুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিঃস্বার্থে একজন আরেকজন কে ভালোবাসার তৌফিক দান করেন আমিন।