গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়েছে ২৫ ধাপ
এম আবদুল্লাহ
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ছিল গত ৩ মে । জাতিসংঘ ঘোষিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে । বিশ্বব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালিত হয় । ১৯৯১ সালে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহুকে জড়ো হন মহাদেশটির সব সাংবাদিক । সেখানে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর এক সেমিনারে সমবেত সাংবাদিকরা ঘোষণা করেন মুক্ত গণমাধ্যম নীতিমালা । পরবর্তীতে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়নই এ দিবসের লক্ষ্য । এছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্থ ও জীবনদানকারিদের স্মরণ এবং তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিনটি পালন করা হয়ে থাকে । এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে Ñ”কিপিং পাওয়ার ইন চেক : মিডিয়া , জাস্টিস এন্ড দ্যা রুল অফ ল” । বিগত বছরগুলোর মত এবারও বাংলাদেশে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপস্থিত হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন শাসকগোষ্ঠীর দলন-নিপীড়নে গোটা সংবাদমাধ্যম বিপর্যস্থ ও শৃঙ্খলিত । সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ চাপ আর একের পর এক কালাকানুনে বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকরা চরম ভীতি ও অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে । গ্রেফতার, হামলা, মামলা বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের নিত্যসঙ্গী । জনপ্রিয় সংবাদপত্র ও টেলিভিশন গায়ের জোরে বন্ধ করে দিয়ে সরকার গোটা গণমাধ্যম জগতকে একপেশে, তোষামোদি ও নতজানু সাংবাদিকতার পথে ঠেলে দিয়েছে ।
লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন,বিএফইউজে/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ