শিক্ষার্থীরা রোবট নয় মানুষ
সাব্বির হোসাইন রনি
একটি সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার জন্য শিক্ষার্থীদের সাধারণত ২০-২৫ মিনিট লাগে। কিন্তু ১ টি সৃজনশীল লেখার জন্য ২০ মিনিট বরাদ্দ রাখতে হয়, সেই সুবাদে ৬ টা সৃজনশীল ১২০ মিনিট অর্থাৎ, ২ ঘন্টা এবং অবশিষ্ট ১০ মিনিট রিভাইস। যা বরাবরই বরাদ্দ থাকে কিন্তু আমাদের পরের যারা পরিক্ষার্থী তাদের যখন ৭ টি সৃজনশীল করা হয়েছিলো, তখন একটা সৃজনশীল লেখার জন্য তারা পেয়েছিলো ১৭ মিনিট করে। অথচ, সময় কিন্তু সেই ২ ঘন্টা ১০ মিনিটই ছিলো। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের হয়তো অনেকটা রক্ষা হয়েছিলো। কিন্তু মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা টের পেয়েছিলো । আমার প্রশ্ন, শিক্ষামন্ত্রী কি নিজে ঐ ৭টা সৃজনশীল লিখতে পারতেন? মনে তো হয় না, এবার আসুন ১০টি সৃজনশীল প্রসঙ্গে। আগেই বলেছি, একটি সৃজনশীল সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে মিনিমাম ২০ মিনিট লাগেই। সে যত মেধাবীই হোক না কেন, ২০ মিনিট লাগবেই এর চেয়েও বেশি সময় লাগে। ১০ টি সৃজনশীল যদি ৩ ঘন্টায় দেয় সে ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সৃজনশীল এর জন্য বরাদ্দ থাকবে ১৮ মিনিট। অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের রোবট ছাড়া আর কিছুই ভাবেন না। প্রশ্নফাঁসের দায় কেন আমাদের ঘাড়ে এসে পড়বে? প্রশ্ন কি কোন স্টুডেন্ট ফাঁস করে? ফাঁস তো করে তারা, যাদের সামান্য একটা প্রাইমারি স্কুলে বা হাই স্কুলে চাকরীতে ঢোকার সময় আপনাদের ১৪-১৫ লাখ টাকা হাদিয়া দেয়া লাগে। ১৪-১৫ লাখ টাকা তো তাদের উঠাইতে হবে। তাই তারা প্রশ্ন ফাঁস করে। আর তারা না করলে করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট অফিসাররা। তাহলে তার দায় কেন আমাদের উপর এসে পড়বে? আমরা এর জবাব চাই। জবাব যদি না দিতে পারেন, তাহলে সব সাবজেক্টে ৫ টা করে সৃজনশীল দিতে হবে।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ