কার্ল মার্ক্সকে বিশ্বব্যাপি স্বরণ করা হচ্ছে
শাহরিয়ার কবির
সারা পৃথীবিতেই কার্ল মার্ক্সকে স্বরণ করা হচ্ছে তার ২০০তম জন্ম বার্ষিকীর কারণে। মূলত কার্ল মার্ক্স আমাদেরকে যা দিয়েছেন তা হলো, পরিবর্তন দরকার। আর এ পরিবর্তন কেন দরকার! আমাদের সমাজে এখনো যে ধনী-গরিবের যে বৈষম্য রয়েছে, বা শোষণ-নিপীড়ন রয়েছে, তা এখোনো বন্ধ হয়নি। সমাজ পরিবর্তন যতো হচ্ছে আমাদের দারিদ্রতা কি দূর হচ্ছে? আর যতদিন আমাদের সমাজে ধনি-গরিবের ব্যবধান থাকবে, শোষণ-নিপীড়ন থাকবে এবং সারা পৃথিবীতে কোনো না কোনো ভাবে, কেউ না কেউ আমরা শোষিত হচ্ছি, কার্ল মার্ক্স সমাজের এই বৈষম্য অবসানের জন্য সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কথাই বলেছেন। আর এই বিপ্লবের পথ কি হবে, এনিয়ে দ্বিমত হতে পারে এবং তার নতুন ব্যাখ্যাও হতে পারে। যতোদিন আমাদের সমাজে এই অন্যায় ও শোষণ নিপীড়ন থাকবে, ততো দিন কার্ল মার্ক্স প্রাসঙ্গিক থাকবে। মাথাপিচু আয় বাড়াটা একটা সমাজের অগ্রগতির লক্ষণ নয়। সমাজের অগ্রগতির লক্ষণ হচ্ছে, তাদের অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে কি-না? এখন পর্যন্ত ধনি-গরিবের ব্যবধান কমেনি। কার্ল মাক্স সমাজে সাম্যের কথা বলেছেন। সমাজে সাম্যতা আসবে কি করে! যে সমাজে শোষণ নিপীড়ন থাকবে ঐ সমাজেতো সাম্যতা আসবে না। আমরা সকলেই মানবতার কথা বলে থাকি যে, সমাজে সবাই সমান। শোষণের প্রক্রিয়া না থাকলে মানুষতো শোষক হতে পারে না। আবার শোষিত হতেও পারে না। বিপ্লব কিভাবে হবে, এনিয়ে সারা পৃথিবীতেই আন্দোলন চলছে। আর এ আন্দোলন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে হবে।
পরিচিতি : সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ