৫ বছরে ১০ লাখ শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছে ড্রপ আউট হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার গলদে: ড.বারকাত
বিশ্বজিৎ দত্ত: পাঁচ বছর আগে ২০১২ সালে প্রাথমিকে পাস করেছিল ৩০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী। ২০১৮তে এসএসসিতে পরীক্ষা পাস করেছে প্রায় ২০ লাখ। গত ৫ বছরের এই সময়ে এসএসসিতে ১০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী কমে গেছে। এই বিপুল সংখ্যকক ছাত্রছাত্রি কমে যাওয়াকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গলদ হিসাবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেন, স্বাভাবিকভাবে অল্প কিছু ছাত্র-ছাত্রী ড্রপ আউট হয়। এর পরিমান ৫ থেকে ৬ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু ১০ লাখ কমে যাওয়া মানেই হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। একটা কারণ হয়তো মেয়েদের উপবৃত্তি দেয়া হয়। কিন্তু ছেলেদের দেয়া হয় না। একারণে গরিব ছেলেরা প্রাথমিকের পর আর হয়তো পড়াশুনা করছে না। দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক অবস্থা প্রাথমিক পর্যন্ত সবাই বিনামূল্যে বই ও পড়াশুনা করতে পারে। মাধ্যমিক স্তরে পড়াশুনার জন্য অর্থ খরচ করতে হয়। যারা ঝরে পড়েছে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল নয়। প্রাথমিকের পরেই তারা কোন না কোন কর্মে প্রবেশ করেছে ।
তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন এমসিকিউ পদ্ধতিতে একজন ছাত্রের যথাযথ মেধার মূল্যায়ন হয় না। এবারের এসএসসি রেজল্টে দেখাগেছে জিপিএ পরীক্ষার্থিরা জিপিএ৫ বেশি পেয়েছে কিন্তু পাসের হার কম।তার মানে হলো, টিক চিহ্ণ দিয়ে রেজাল্ট ভাল করেছে। সার্বিক পড়াশুনা কম হয়েছে। তিনি শিক্ষারউন্নয়নে এমসিকিউ বাদ দিয়ে বিশ্লেষণমূলক পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর কথা বলেন। শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন উন্নয়ন কর্মি মনোয়ার মোস্তফা বলেন, ১০ লাখ শিক্ষার্থি ড্রপআউট হয়ে যাওয়া মানে হলো, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থায় টানপোড়েন বেড়েছে। যারা ড্রপ আউট হয়েছেন তাদের আউট হওয়ার মূল কারণ গরিবি। তারা হয়তো আর পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার অবস্থায় ছিলেন না। আর শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদতো রয়েছেই।
ব্যুরো অব এডুকেশনাল স্টেটিসটিকসের (ব্যানবেইস) বার্ষিক সার্ভে থেকে দেখা যায়, ২০১৭ সালে প্রাইমারির পর ছাত্রছাত্রিদের ড্রপআউটের সংখ্যা, প্রায় ৩৮ শতাংশ। ২০১৬ তে যাছিল প্রায় ৪০ শতাংশ। গত দুই বছরে প্রায় ২ শতাংশ শিক্ষার্থি ড্রপ আউট কমেছে। সম্পাদনা:হুমায়ুন কবির খোকন