আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশও দিতে পারে আদালত খালেদা জিয়ার জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ উঠে যেতে পারে
বিশ্বজিৎ দত্ত: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করবে উচ্চ আদালতের উপর। তবে তিনি যে মামলায় অভিযুক্ত তাতে আগেই হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে। সুতরাং তার জামিনের উপর আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ায় কোনো বাধা নেই বলে মনে করেন উচ্চ আদালতের দুজন আইন বিশেষজ্ঞ।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, বেগম জিয়ার যে মামলায় কনভিকশন হয়েছে সেই মামলাটি চলমান। সুতরাং উনাকে জামিন দেয়া কোনো সমস্যা নয়। হাইকোর্ট আগেই উনাকে জামিন দিয়েছে। এখন জামীন স্থগিতাদেশের শুনানিতে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার কোনো বাধা নেই। যদিও এটির সবটাই আপিল বিভাগের ইচ্চার উপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রধান দলের প্রধান, বয়সও হয়েছে। উনি জামিন পেয়ে পালিয়ে যাবেন এটা একবারেই হাস্যকর। এখন যদি উনাকে পলিটিক্যালি আটক করে রাখা হয় সেটা অন্য বিষয়। মামলা তো আরো আছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, জামিন তো হাইকোর্ট আগেই দিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে, (আজ) হয়তো বেগম জিয়ার আপিল মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য আদালত নির্দেশ দিতে পারে। তাতে হয়তো উনার জামিন আদেশের উপর স্থগিতাদেশ না-ও উঠতে পারে। ৩ মাস পরে হয়তো নিষ্পত্তি হবেÑ উনার সাজা থাকবে না কি থাকবে না।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল এবং আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর আজ শুনানির দিন আগেই নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৪ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।
এরপর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেন। রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে। সম্পাদনা: আনিস রহমান