আসাদুজ্জামান স¤্রাট : চাঁদপুর শহর রক্ষা প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ জেলার শৈলাবাড়ী রক্ষা প্রকল্প, ভোলা শহর সংরক্ষণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ও ভোলার লালমোহন উপজেলার অতি ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্পের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। এ অনিয়মের প্রেক্ষিতে উত্থাপিত ১০টি অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদ দিয়েছে সরকারি হিসাব কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে অডিট আপত্তিগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে শহর রক্ষার জন্য তৈরীকৃত শতভাগ সিসি ব্লক স্থাপন ও ডাম্পিং এর দূরত্ব ২০০ মিটারের বাইরে বিবেচনায় ধরে শ্রমিক মজুরি প্রদান করায় ৩ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৯ টাকা ক্ষতির বিষয়টি তদন্তের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও নিরীক্ষা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে দিয়ে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করে মহাহিসাব নিরীক্ষকের নিকট প্রতিবেদন প্রদান করার মাধ্যমে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য বলা হয়।
বৈঠকে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পের দরপত্র সিডিউল বিক্রয় বাবদ প্রাপ্ত রাজস্ব ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রত্যয়ন আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রদানের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর শহর রক্ষা প্রকল্প (২য় পর্যায়) ২০০৫-০৬ ও ২০০৬-০৭ অর্থ বছরের ব্যয়ের রেকর্ডপত্র সরবরাহে অপারগতা’ মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করে।
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ এমপি, মো. মোসলেম উদ্দিন এমপি, মো. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, আ, ফ, ম, রুহুল হক এমপি, মো. আফছারুল আমীন এমপি এবং মো. শামসুল হক টুকু এমপি অংশগ্রহণ করেন।