জিয়াউদ্দিন রাজু: দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (বুধবার)। তিনি ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লালদিঘীর ফতেহপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া দীর্ঘ ৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটান।
ড. ওয়াজেদ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দু’টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এছাড়া তার লেখা ৪৬৪ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ৩২০ পৃষ্ঠার ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড কর্তৃক প্রকাশিত হয়। বহুল রাজনৈতিক ঘটনা সংবলিত এই দুটি গ্রন্থ সুধী পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ও মহাজোটের শরীক দলগুলোসহ বিভিন্ন সংগঠন বিজ্ঞানীর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি, ফাতেহা পাঠ ও কবর জিয়ারত, স্মৃতিচারণ, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসুচি গ্রহণ করেছে।
প্রয়াত বিজ্ঞানীর ভাতিজা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, বুধবার সকালে বিভিন্ন সংগঠননেতা কর্মীরা লালদীঘির ফতেহপুরে জয়সদনে প্রয়াত বিজ্ঞানীর কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন। পরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের পর গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। বিকেলে উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন এবং মহাজোটের উদ্যোগে বিজ্ঞানীর স্মৃতিচারণে আলোচনা সভার আয়োজন রয়েছে।
পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয়বার ভাবা উচিত নয় বলেও মনে করেন এই শিক্ষাবিদ।