তরিকুল ইসলাম সুমন: দেশের উপকূলীয় ও সীমান্তবর্তী ১১টি জেলার ৭টি নৌ রুট খননের উদ্যোগ নিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। যা আগামী ৫ বছরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ সূত্র জানায়, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, শেরপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র (যুমনা নদী-জামালপুর-ময়মনসিংহ-কটিয়াদি) দৈর্ঘ্য ২২৭ কিলোমিটার, ধরলা (পাটগ্রাম-লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম-উলিপুর) দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার, দুধকুমার (বুড়িগঙ্গা-বুড়িঙ্গী বা নাগেরশ্বরী) দৈর্ঘ্য ৫৯ কিলোমিটার, বুড়িশ্বর-পায়রা (জিলনা-লেবুখালী-আইলা-পায়রাকুঞ্জ) দৈর্ঘ্য ৮৫ কিলোমিটার, তুলাই (ভান্দরা-ডমনিঘাট-মাধববাটী) দৈর্ঘ্য ৭০ কিলোমিটার, সোয়া (ডেনারহাট-মারশালডাঙ্গী-সাগুনী-ডাকুরনী-জাবারহাট-ডমনিঘাট) দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার, পুনর্ভবা (বীরগঞ্জ-রামপুর-কান্তানগর-কাহারুল-সুন্ধরা) দৈর্ঘ্য ৮০কিলোমিটার। এ সাতটি রুটের ৬০০ কিলোমিটার নৌ পথের ক্যাপিটাল ও সংরক্ষণ ড্রেজিং মিলে ২ হাজার ৩১৯ দশমিক ৭৫ লাখ ঘন মিটার বা ৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টন পলি আপসারণ করো হবে। এতে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজার দিয়ে ১৮০ লাক্ষ ঘনমিটার, বেসরকারি ড্রেজার দ্বারা ১১৭৫ লাখ ঘনমিটার পলি খনন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ৭ রুটের এ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি প্রিএকনেকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। একত্রে এত টাকা বরাদ্দের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে একে দুটি পর্যায়ে করার জন্য বলা হয়েছে।
ড্রেজিং বিভাগ সূত্র জানায়, আগামী ৫ বছর মেয়াদে (জুলাই ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত) বুড়িশ্বর-পায়রা নৌ-পথ এবং পুরাতন বহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার, পুনর্ভবা, তুলাই, এবং সোয়া নদীর নাব্য উন্নয়ন ও নৌ-পথ পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব নৌ রুটে কার্গো ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সুগম হবে। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও জলাবদ্ধতা হ্রাস পাবে। ফলে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ব্যবসা বাণিজ্যকে সমৃদ্দশালী ও প্রসার ঘটবে।
প্রকল্প ব্রিফ থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দুধকুমার ও ধরলা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীটির নাব্য ফিয়েয়ে আনা, সুয়া, তুলাই নদীর ড্রেজিংয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনুরোধ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী পায়রা নদী সংলঘœ এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনানিবাস স্থাপনে সহায়তার জন্য বুড়িশ্বর-পায়রা খনন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পাদনা: আনিস রহমান