মাদক নির্মূলে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালবাসা তৈরি করতে হবে
মো. শাওন
মাদক গ্রহণ করাকে ঘৃণার চোখে দেখা উচিত। সমাজপতিগণ নিজেরা মাদকমুক্ত থেকে এবং তাদের প্রভাব খাটিয়ে মাদক প্রতিরোধ করতে পারেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, অফিস, আদালত প্রভৃতি জন গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে মাদক বর্জন করা প্রয়োজন। শিশুকাল থেকেই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে হবে। যাতে ইসলামের বিধি-বিধান সমূহ পালনে তারা আগ্রহী হয়। সাথে সাথে মহান আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালবাসা তৈরি করতে হবে। যাতে আল্লাহ পাকের প্রতিটি কথা পালন করতে অভ্যস্থ হয়ে উঠে। মাদক গ্রহণের ক্ষতিকর বিষয় সম্বন্ধে শারীরিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় দিকগুলো তুলে ধরে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মাদকের ক্ষতি ও অপকারিতা সম্বন্ধে অবহিত হলে এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করা ও এর প্রতি ঘৃণা জন্মানো সহজ হবে। মাদক প্রতিরোধে চিকিৎসকগণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন এবং জনগণকে এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে অবগত করে তাদেরকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি সাধিত হওয়ার কারণে মাদকের মারাত্মক ক্ষতি সর্বজন স্বীকৃত। আসুন সবাই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। মাদক বর্জনের জন্য মাদক গ্রহণকারীর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য প্রথমে অন্ধকার পথের সঙ্গীদের সাথে উঠা বসা ছেড়ে ভাল বন্ধুদের তালাশ করা যায়। ইসলামের শিক্ষা ও বিধি-বিধান পুরোপুরি মেনে চললে মাদক বর্জন করা সহজ হবে। মাদক নিবারণের জন্য সমাজ ও স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি বর্গের সমন্বয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন।
পরিচিতি : ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা / সম্পাদনা : মো. এনামুল হক এনা