পরিবারের অবহেলার কারণে ছেলে-মেয়ে মাদকাসক্ত হয়
লাকী আক্তার
অশিক্ষিত দরিদ্র যারা তারা মাদকের ভয়াবহ কুফল সম্পর্কে অবহিত নন। শিক্ষিত বেকার যুবকও জীবনের গতি ধারায় দীর্ঘদিন বেকার জীবনের কারণে নেশাগ্রস্ত হতে পারে। মা-বাবার অবহেলার কারণে পরিবারের ছেলে হোক, মেয়ে হোক তারা অবাধ মেলামেশা, চলাফেরা এবং মাদকাসক্ত হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে। সমাজে কথা আছে, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশের কারণ হতে পারে। উচ্চ শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত কেউ যেন বেকার না থাকে। চাকুরী, ব্যবসা এবং কারিগরি বিদ্যা তাদের স্বাবলম্বি করতে পারে। জীবনমান গড়ার জন্য, আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলার জন্য পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিশীল প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা এবং মাদক-বিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে শিশু-কিশোর ও তরুণ সমাজকে গড়ে তোলা আবশ্যক। মাদকাসক্তির ভয়াবহতা এবং কুফল সম্পর্কে পরিবার, সমাজ, স্কুল, কলেজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর কুফল এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে জানানো হলে এবং সামাজিকভাবে মাদক বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণ সমাজের মধ্যে মাদকাসক্তির ভয়াবহতার কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হলে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। যদি কোন কারণেই পরিবারের অজ্ঞাত কোন ছেলে এবং মেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে, তাকে ঘৃণা না করে বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে, বিভিন্ন কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে মাদকের কুফল এবং সর্বনাশী মাদক নেশার ব্যাপারে জানাতে হবে। সুন্দর ভবিষ্যৎ বিধি নির্মাণে বন্ধুত্বমূলক ভূমিকার মাধ্যমে তাদেরকে সর্বনাশী মাদকের কুফল থেকে ফেরাতে হবে। সার্বক্ষণিক নজরে রাখা এবং সময়মত যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করানো পরিবারের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। অনেকের ধারণা, প্রয়োজনে তরুণ-তরুণীদের বিবাহ ব্যবস্থাও একটি নিরাময়ের কারণ হতে পারে। আসক্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সামনে এগুতে হবে। না বুঝে চিকিৎসা ব্যতীত বিয়ের কারণে ২টি জীবনের সাথে সমস্ত পরিবারের ধ্বংস ডেকে আনবে। ঐশী নামের মেয়েটি ইয়াবা সেবী ও মাদকাসক্ত হয়ে জীবনের খুব আপনজন জন্মদাতা মাতা-পিতাকে খুন করেছিল। মাদকাসক্ত ঐশী এত কঠিন এবং নর ঘাতকের পর্যায়ে পৌঁছার কারণ অনেকে হতে পারে।
পরিচিতি : সাবেক সভাপতি, ছাত্র ইউনিয়ন/ মতামত গ্রহণ: নৌশিন আহমেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ