কোটা সম্পূর্ণ বাতিল সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক
এ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া
বাংলাদেশে যে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান ছিলো সেটার বিরুদ্ধে আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। মহামান্য হাইকোর্ট গত ৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে আমাদের রিট খারিজ করে দিয়েছিলেন। সেই খারিজের বিরুদ্ধে আমি রেগুলার সিভি দায়ের করেছি। সিভি দায়ের করি গত ১১ এপ্রিল ২০১৮ ইংরেজি তারিখে। সেখানে আমি সকল যুক্তি উপস্থাপন করেছি এবং আপিলের জন্য অনুরোধ করেছি। সিপি হলে মহামান্য হাইকোর্ট একটা সিদ্ধান্ত নিবে যে, সেটা আমি আপিলের অনুমতি পাবো কি পাবো না। আমি আশা করি, ইনশাআল্লাহ আপিলের অনুমতি পাবো। তারপর আবার কোটা সংস্কারের জন্য আপিল করবো। সংবিধান আর রাষ্ট্র এগুলো তো জনগণের জন্য। সংবিধান আর জনগণের দাবি রাষ্ট্র মানবেই। দেশে লক্ষ লক্ষ বেকার, তারা মেধাবী হয়েও চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি মনে করি, যুগোপযোগি একটা সিদ্ধান্ত হবে, যদি কোটা সংস্কার করা হয়। এবং সেটাও আমরা বলেছি। কোটা যে বাতিল হবে, সেটা আমরা বলিনি। আমরা বরাবরই সংস্কার করার কথা বলেছি। আমরা এটাও বলেছি যে, কোটা কতটুকু রাখা যায়, এ ব্যাপারে একটা কমিটি গঠন করা হোক। তারপর সেই কমিটি যেটা রায় দিবে আমরা সেটা মেনে নিবো। এগুলো আমরা আমাদের রিটে চেয়েছিলাম। কখনোই কোন ছাত্র দাবি করেনি যে, কোটা সম্পূর্ণ বাতিল হোক। আমি জানিনা, প্রধানমন্ত্রী কেন সম্পূর্ণ কোটা বাতিল ঘোষণা করেছেন বা এরকমটা বলেছেন। সম্পূর্ণ কোটা বাতিল আমরা চাই না। কোটা সম্পূর্ণ বাতিল সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই এটা করা সম্ভব নয়। আমার রিটের সাথে প্রধানমন্ত্রী বা আন্দোলনের কোন সম্পর্ক নেই।
পরিচিতি : কোটা সংস্কারের জন্য রিটকারী সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী / মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ