মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে পরীক্ষাগার বাড়ছে
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের পরীক্ষাগার বাড়ানো হচ্ছে। এর আগে মাত্র একটি পরীক্ষাগার দিয়ে কার্যক্রম চলতো। শিগগির চট্টগ্রামে নতুন একটি পরীক্ষাগার চালু করার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বর্তমানে গেন্ডারিয়া এলাকায় একমাত্র পরীক্ষাগারে একজন প্রধান পরীক্ষক রয়েছেন। তার নেতৃত্বে কাজ করছেন আরো ৫ জনসহ ২৫ জন কেমিস্ট ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। পরীক্ষাগারের প্রধান পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, বর্তমানে যেসব ইকুইপমেন্ট রয়েছে তা দিয়ে কাজ চললেও এর আধুনিকায়ন জরুরী। এছাড়া লোকবলও বাড়ানো প্রয়োজন। ওই পরীক্ষাগারে কাজ করেছেন এমন একজন কর্মকর্তা জানান, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই পরীক্ষাগারটিতে বেশির ভাগ নমুনারই রাসায়নিক পরীক্ষা হয় না। পুলিশ বা অন্য সংস্থা একটি নমুনাকে হেরোইন সন্দিগ্ধ বস্তু হিসেবে উল্লেখ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। এরপর পরীক্ষাগারের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীরা সেই নমুনাটি খাম থেকে বের করেন। কোনো পরীক্ষা না করেই সেই নমুনায় সন্দিগ্ধ মাদকের অস্তিত্ব রয়েছে বলে প্রতিবেদন লিখে পরীক্ষকের সই নিয়ে ডাকে পাঠিয়ে দেন তারা। সারা দেশের একমাত্র পরীক্ষাগার হিসেবে এটির যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন, তা এখানে কখনোই ছিল না। শুরু থেকেই অফিস সহকারীরা নমুনার প্রতিবেদনগুলো তৈরি করে আসছেন।
কর্মকর্তারা জানান, ২০০০ সালে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এ পরীক্ষাগারটি স্থাপন করা হয়। এ টাকার অর্ধেক দিয়ে ভবন আর বাকি অর্ধেক দিয়ে কিছু উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা হয় মাদক পরীক্ষার জন্য। কিন্তু কেনার পর থেকেই কোনো দিনই এসব যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। পড়ে থেকেই বিকল হয়েছে সব। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি (জিসি), হাইপ্রেশার লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি (এইচপিএলসি), ইনফ্রারেড স্পেকট্রো ফটোমিটার, ইউভি স্পেকট্রো ফটোমিটার ইত্যাদি। এ যন্ত্রগুলোতে একসঙ্গে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অনেকগুলো নমুনা পরীক্ষা করা যায়। এ যন্ত্রে মাদকের পরিমাণগত পরীক্ষণও সম্ভব হয়। তবে কেনার পরে এ যন্ত্রগুলোর ব্যবহারই হয়নি।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে যে পরীক্ষাগার রয়েছে সেটি দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা সেম্পলের পরীক্ষা সঠিকভাবেই করা হচ্ছে। এখানে কোনো ধরণের অনিয়ম হচ্ছেনা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকবল বাড়ানোসহ প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় পর্যায়ে রাসায়নিক পরীক্ষাগার বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ক্রমান্বয়ে জেলা পর্যায়েও বাড়ানো হবে।