নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে আ.লীগের ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর সেখানে নেতৃত্ব নিয়ে অস্থিরতা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দলের মধ্যকার কোন্দল না মেটালে নির্বাচনের সময় সমস্যা আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্য অঙ্গসংগঠনের নেতারা। মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল চৌধুরী এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। এর অংশ হিসেবে গত ৫ মে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, দলকে চাঙ্গা করতে নগরীর সব ওয়ার্ড কমিটিকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত কয়েকদিন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের পর নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর ও সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ ইমুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতারা দেখা করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের সঙ্গে। ছাত্রলীগ নেতারা তাদের মাঝে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চান। এ ছাড়া নগর শ্রমিকলীগের নেতারা সিটি মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে আলোচিত সমালোচিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। দলে প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি ও বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করা হলেও দ্ইু জনের মধ্যে বিরোধী ছিল। ফলে নেতাকর্মীরা ছিলেন দুই ভাগে বিভক্ত।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান বঙ্গবন্ধু আমলের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি দায়িত্ব নেয়ার এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আমূল পরিবর্তন দেখা যায়।
নওফেল চৌধুরী বলেন, আমার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্থান পূরণ হবার নয়। কিন্তু তারপরও দলকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শ ও নির্দেশনা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। চট্টগ্রামে কোনো কোন্দল থাকবে না। সম্পাদনা: আনিস রহমান