ফাহিম ফয়সাল: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে আস্থা এবং পুঁজির সংকট রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর কমানো, ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তকরণ, আইসিবিকে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ এবং শেয়ারবাজার তদারকির জন্য একটি বিশেষ কমিটি করা যেতে পারে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘পুজিবাজার উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, প্রবৃদ্ধির তুলনায় দেশের শেয়ারবাজার খুবই দুর্বল। এটা আমাদের স্বীকার করতে হবে এবং এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিমাণ কম। আমাদের রিজার্ভ পর্যাপ্ত। কিন্তু রিজার্ভ যদি কাজে লাগানো না যায়, অলস পড়ে থাকে তাহলে সেটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তাই রিজার্ভকে কাজে লাগাতে বন্ড মার্কেটে বন্ড ছাড়া যেতে পারে।
আইসিবির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান বলেন, অর্থনীতির বিকাশে শেয়ারবাজারের যে ভূমিকা থাকার কথা ছিল, দেশে তা দৃশ্যমান নয়। প্রবৃদ্ধির সাথে শেয়ারবাজারের যে সম্পর্ক বাংলাদেশ সেখানে ব্যর্থ। ব্যাংকগুলোকে নিজেদের সমস্যা নিজেকেই দূর করতে পারে।
অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, বাজারে কতোগুলো কোম্পানি আছে তা মূখ্য বিষয় নয়, কিন্তু কয়টি কোম্পানিতে আমি ৫ থেকে ৬ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবো সেটাই মূখ্য। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর কমানো দরকার। পৃথিবীর সব পুঁজিবাজারই জুয়ার আসর। কৃত্রিম উপায়ে অন্যান্য দেশে ১০ শতাংশ দাম বাড়ানো সম্ভব হলেও বাংলাদেশে তা অনেক বেশি। মার্কেট যদি স্থিতিশীল করা না যায় তাহলে ৮ শতাংশের প্রবৃদ্ধির স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে পুঁজির সংকট দূর করতে আইসিবিকে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ প্রদান, অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে এবং শেয়ারবাজার তদারকির জন্য একটি বিশেষ কমিটি করা যেতে পারে। সম্পাদনা: আনিস রহমান