বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং বঙ্গোপসাগরে যৌথ টহল নিয়ে আলোচনা
মাছুম বিল্লাহ : বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে দুইদিন ব্যাপি বৈঠক গতকাল দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষা সদর দফতরের সাউথ ব্লকে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়। উভয় দেশের মধ্যে এটাই প্রথম প্রতিরক্ষা বিনিময় নিয়ে বৈঠক। এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান এবং ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্র।
বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ, প্রতিনিধি দল বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও উভয় দেশের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে বঙ্গোপসাগরে যৌথ সামরিক মহড়া এবং নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে সমুদ্রে যৌথ টহলের বিষয়টি। বৈঠকে বলা হয়, উভয় দেশের কোস্টগার্ডের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা হবে।
গতকাল প্রতিনিধি দলটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ পরিদর্শন করেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। এ সব বৈঠকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সহায়তার জন্য পাঁচশ মিলিয়ন ডলার সহজ শর্তের ঋণের ঘোষণা দেন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে একটা অবস্থান তৈরি করতে পারে।