• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

ইসলামি চিন্তা

ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে প্রার্থনা

প্রকাশের সময় : May 11, 2018, 12:00 am

আপডেট সময় : May 10, 2018 at 8:08 pm

হাবীবুল্লাহ সিরাজ : ধৈর্য মনুষ্যত্বের অন্যতম পরিচায়ক। ভালো গুণাবলির অন্যতম। আরবিতে এর প্রতিশব্দ সবর, যার অর্থ সংযম অবলম্বন করা, নফসের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ করা। কুরআনুল কারিমে বারবার আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যের আদেশ দিয়েছেন। দুঃখ-দুর্দশায় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার আদেশ দিয়েছেন ধৈর্যের মাধ্যেমে। ঘোষণা হচ্ছে, তোমরা আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো। ধৈর্য এবং নামাজের মাধ্যেমে। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৩) এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো আয়াতে সাহায্য কামনার জন্য ধৈর্য আর নামাজ কে মাধ্যম বানিয়েছেন। শুধু এতটুকু নয় আয়াতে নামাজের আগে ধৈর্যের কথা বলা হয়েছে।

পবিত্র কুরআনও হাদিসের পরিভাষায় ধৈর্যের তিনটি শাখা রয়েছে, আত্মা বা নিজেকে হারাম ও নাজায়েজ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখা, ইবাদত ও আনুগত্যে নিজেকে বাধ্য করা বা ডুবিয়ে রাখা এবং যেকোনো বিপদ আপদ বালা মুছিবত, দুঃখ-দুদর্শা সঙ্কটে ধৈর্য ধারণ করা। অর্থাৎ যে সব বিপদ-আপদ বালা মুছিবত এসে উপস্থিত হয় তা আল্লাহর বিধান বলে মেনে নেয়া এবং বিনিময়ে আল্লাহর তরফ থেকে প্রতিদান প্রাপ্তির আশা করা। অবশ্য কষ্টে কতর হয়ে যদি মুখ থেকে কোনো কাতর শব্দ উচ্চারিত হয় বা অন্যের কাছে প্রকাশ করে, তবে তা ধৈর্যের পরিপন্থি। ধৈর্যের উপরোক্ত তিন শাখাই ধৈর্য ধারন করা মুসলামানের কর্তব্য। আমরা অনেকেই মনে করি, তৃতীয় প্রকারে শুধু ধৈর্য। অন্যগুলো ধৈর্য বলে আমরা জানিনা। সুতরাং আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব ধৈর্যের তিন শাখায় আমল করা। ধৈর্য ধারন করা। কুরআনে ধৈর্যের আয়াত তোমরা আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যেমে (সুরা বাকার আয়াত ১৫৩) প্রতিশোধ গ্রহণের আলোচনায় আল্লাহ বলেন, যদি প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চাও তবে ততোটুকু নাও যে পরিমাণ তারা তোমাদের ক্ষতি করেছে। আর যদি ধৈর্য ধারণ করো তবে জেনে রেখো তা ধৈর্য ধারণকারীদের জন্য উত্তম। আপনি ধৈর্য ধারণ করুণ, আপনার ধৈর্য আল্লাহ ব্যতীত আর কারো জন্য নয়। (সুরা নাহাল: ১২৬, ১২৭) এক স্থানে আল্লাহ কালের শপথ করে ঘোষণা করেণ,  চার শ্রেণির লোক ব্যতীত সব মানুষ ধ্বংসের মধ্যে নিমজ্জিত। ওই চার শ্রেণির এক শ্রেণি হলো ধৈর্য ধারণকারী, (সুরা আসর)। তায়েফবাসীর আক্রমণে নবী সা. যখন রক্তাক্ত দিশেহারা ব্যাকুলচিত্তে পাহাড়ের পাদদেশে অসহায় অবস্থাায় বসেছিলেন, তখন হযরত জিবরাইল আ. আয়াত নিয়ে এসেছিলেন,  ধৈর্য ধরুন, চরম ধৈর্য। আয়াতের আলোকে বলা যায়, ধৈর্য মুুমিনজীবনের অপরিহার্য গুণ।

 

 

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)