সন্দেহভাজন খুনি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে খুন হয়েছেন ডিশ বাবু
মাসুদ আলম: রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা ও গুলশান এলাকায় ডিশ ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে রবিন কোম্পানি গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্বে আব্দুর রাজ্জাক বাবু ওরফে ‘ডিশ বাবু’ (৩০) খুন হয়েছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে এবং এর বাইরে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত করছে পুলিশ।
বুধবার রাতে দক্ষিণ বাড্ডার জাগরণী ক্লাবের সামনে গুলিতে নিহত হন ডিশ বাবু। ঘটনার পর রাতেই পুলিশ তিনজনকে অস্ত্রসহ আটক করে। এদের মধ্যে তানভীর সাফায়েত হোসেন তামরিন ওরফে রানা (২৮) নামের একজনকে নিয়ে গতকাল ভোরে বাড্ডার আফতাব নগরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে আহত হয় তানভীর । তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত তানভীর সাফায়েত হোসেন তামরিন ওরফে রানার (২৮) বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ একডজন মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছিল ডিশ বাবু। ওই এলাকার ডিশ ব্যবসা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল রবিন কোম্পানি । বুধবার বিদেশ থেকে ফোনে বাবুকে হত্যার হুকুম দেন রবিন। তার নির্দেশনা অনুসারে সাফায়েত তানভীর, হেলাল ও অভি গুলশান কমার্স কলেজের কাছে গিয়ে সন্ত্রাসী শুভর কাছ থেকে অস্ত্র নেন। ওই দিন রাতে তানভীর, হেলাল ও অভি মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণ বাড্ডা জাগরণী ক্লাবের কাছে বাবুর ডিশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে না পেয়ে জাগরণী ক্লাবের সামনে ডিশ বাবুকে গুলি করে।
পুলিশ জানায়, তানভীরের বাসা সাভারে হলেও দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছিল। রবিন, ডালিম ও রমজান একটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রুপের বড় ভাই আমেরিকায় থাকে। বাবু হত্যার জড়িত রাসেলসহ দুইজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। রবিন মালয়েশিয়ায় থাকে।
বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, বাবু হত্যায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক অপর ২জনকে ডিবি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) ডিসি মো. মশিউর রহমান বলেন, রবিন কোম্পানি গ্রুপ ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতেই বাবুকে হত্যা করে। তিন দিন আগেও তারা ডিশ বাবুকে মারার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।