মালদ্বীপে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির কারাদ-
সাউথএশিয়ান মনিটর : নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগে মালদ্বীপের একটি আদালত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারককে ১৯ মাসের বেশি কারাদ- দিয়েছে।
ফৌজদারি আদালত প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লা সাইদ ও বিচারপতি আলি হামেদকে ১৯ মাস ৬ দিন করে কারাদ- দেয়। এর আগে মঙ্গলবার সাইদকে আলাদা আরেক মামলায় সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগে প্রায় ৫ মাস কারাদ- দেয়া হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজনৈতিক গোলযোগের জেরে জরুরি অবস্থা জারির পর এই দুই বিচারপতিকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মুক্তি দানের নির্দেশ দিয়েছিলো সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধী দলের ওইসব নেতাদেরকে বিতর্কিত বিচারে সাজা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। দুই বিচারপতির বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগের সাজা আরো বড়। দুই বিচারপতি গ্রেফতার হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের বাকি তিন বিচাপতি ইয়ামিনের বিরোধীদের ব্যাপারে আদালতের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
ওই নির্দেশে ১০ বছর আগে দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছিলো। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদ- দেয়া হয় নাশিদকে। তবে, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়ার পর থেকে তিনি ব্রিটেনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।
নাশিদ মুক্তি পেলে তার পক্ষে চলতি বছরের শেষ দিকে দেশিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ তৈরি হবে। বতর্মান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন এখন প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন অবস্থায় পুন:নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। তার সম্ভাব্য সকল প্রতিদ্বন্দ্বী হয় কারাগারে, নাহয় নির্বাসনে।
কয়েক দশক স্বৈরশাসনে থাকার পর ২০০৮ সালে মালদ্বীপে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। তবে ইয়ামিনের শাসনামলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনেক কিছুই আর নেই। ইয়ামিনের সৎভাই ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমও এখন বিরোধী শিবিরে। তাকেও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ইয়ামিনের শাসনামলে তার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিব, দুই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী, একজন প্রসিকিউটর জেনারেল ও বহুসংখ্যক এমপি’কে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ