খুলনায় দুই মেয়র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ: সেনা মোতায়েনের দাবি
শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা সিটি নির্বাচনে (কেসিসি) আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, তালুকদার আব্দুল খালেকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পাগলের প্রলাপ বকছেন। সাম্প্রতিককালে তিনি বিভিন্ন ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। অন্যদিকে বিএনপি মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু তার প্রতিদ্বন্ধি তালুকদার আব্দুল খালেককে সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানান।
গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই শহরের মানুষ জানেন মঞ্জু সর্বহারাদের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি জঙ্গিদের নেতা এটা তার কথায় নতুন করে প্রমাণিত হলো। মঞ্জুর এ আচরণ আমাদের সাথে বা সাধারণ মানুষের সাথে করলে কেউ মেনে নিবে না। শেখ হারুন বলেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু যে খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থী, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নেতা তিনি গত শনিবার সকালে তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে তা আবার স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে পুলিশের গণগ্রেফতার এবং হয়রানির প্রতিবাদে গতকাল সকালে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, পুলিশ আতংকে রয়েছে দলীয় কর্মী এবং সাধারণ ভোটাররা। সরকারের সার্বিক আচরণে রাস্ট্রীয় সন্ত্রাসের চূড়ান্ত রূপ দেখতে পাচ্ছে খুলনাবাসী। আর নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারছে না। আত্মগোপনে থেকে গণসংযোগ করতে হচ্ছে। ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার রাত ৩টা পর্যন্ত আরও ২১ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু একটি অর্থবহ, অংশগ্রহণমূলক ও ভীতিহীন নির্বাচন দিতে কেসিসি নির্বাচনে আবারো সেনা বাহিনী নিয়োগের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, সেনা বাহিনী ছাড়া কোন ভাবেই কেএমপির আওয়ামী পুলিশ দিয়ে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন সরকারকে খুশি করতে চায়। এ কারণে বারবার সেনা বাহিনী নিয়োগের দাবি জানানো হলেও তারা এড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিং শেষে নজরুল ইসলাম মঞ্জু নির্বাচনি প্রচারণায় বের হন।