রমজানে গরুর মাংসের কেজি ৪৫০ ও খাসি ৭২০ টাকা
শাকিল আহমেদ: রমজান মাসে রাজধানীতে দেশি গরুর প্রতি কেজি মাংসের দাম ৪৫০ ও খাসি ৭২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোজায় মাংসের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করে এ দর নির্ধাারন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
গতকাল মেয়র খোকনের সভাপতিত্বে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই দর নির্ধারণ করা হয়। মেয়র বলেন, এবার ভারতীয় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ৪২০ টাকা, খাসির মাংস ৭২০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংস ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বাজারগুলো ছাড়াও সুপারশপগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে। নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে মাংস বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বছর দেশি গরুর মাংসের দাম ছিলো প্রতি কেজি ৪৭৫ টাকা। ভারতীয় গরুর মাংস ৪৪০ টাকা, মহিষের মাংস ৪৪০ টাকা, খাসির মাংস ৭২৫ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংস ৬২০ টাকা।
ঢাকা মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবিউল আলম সভায় দাবি করেন, ব্যবসায়ীরা ওজনে মাংস কম দেন না। সিটি করপোরেশন যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তা মেনে চলবো। তবে কোনো আধুনিক জবাইখানা নাই বলে মাংসের মান সঠিক দাম নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় গাবতলী পশুরহাটে ইজারাদারের সন্ত্রাসীরা মাংস ব্যবসায়ীদের বেঁধে রাখে। রাতের আঁধারে তাদের কাছে টাকা আদায় করে। আর ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা লুটের টাকার অংশ নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। মেয়র খোকনকে উদ্দেশে রবিউল আলম বলেন, গাবতলীর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমাদের অন্য কোনো দাবি নাই। সরকার যে রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা সেই রেটে টাকা জমা দিতে চাই। এটা করলে তিনশ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করা সম্ভব। এসময় মাংস ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি স্থায়ী গরুর হাট করার দাবি জানালে মেয়র সাঈদ খোকন তা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। সভায় বক্তব্য রাখেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ সালাহউদ্দিনসহ মহানগর এলাকার মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা।