জয়পুরহাটে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কর্তন
মতলুব হোসেন, জয়পুরহাট : জয়পুরহাট শহরের নতুনহাটে হাটের জন্ম লগ্নের পুরোনো পাইকড় গাছ দিন দুপুরে কেটে নিয়ে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা। সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ধীরে ধীরে রাতের আধারে গাছের ডাল পালা কয়েকদিন থেকে কেটে আসছিল। গতকাল সোমবার ভোর রাতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে হাটের মধ্যে কয়েক জন মিস্ত্রি গাছটি কাটে এবং গাছ কাটার চিহ্ন মাটি দিয়ে সমান করে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা প্রশাসনকে খবর দিলে তারা গাছটি ফেলে পালিয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন এসে অবশিষ্ট ফেলে যাওয়া গাছের গুলটি সরকারি হেফাজতে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর দেওয়ান মোস্তাকুল ইসলাম মোস্তাক বলেন, বর্তমান প্রভাবশালীদেও ছত্রছায়ায় কিছু ব্যক্তি এই গাছটি দিন দুপুরে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। হাটের পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি কেটে ফেলায় পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হল। নতুনহাট এলাকার সাধারণ মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গাছ কাটা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলে না। তবে গভীর তদন্ত করে অবৈধভাবে যারা গাছটি কেটেছে তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার। জয়পুরহাট নতুনহাটের হাট ইজারাদার দেওয়ান জাহিদ ইকবাল জানান, আমি গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। আমি এখন জয়পুরহাট শহরের বাইরে। এসিল্যান্ড মহোদয় গাছের গুল আমার জিম্মায় সিজার লিস্টের মাধ্যমে রাখতে বলেছে। জয়পুরহাট সদর থানার এস,আই আব্দুল খালেক বলেন, গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়েলিাম।
গিয়ে দেখি পাইকড় গাছের নিচের অংশ গোড়ার গুল আছে। গাছ কে কেটেছে তা আশপাশের দোকানের লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে কেউ মুখ খোলেনি।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী বলেন, অবৈধভাবে গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন যাওয়ার পর অভিযুক্ত গাছকাটার লোকজন পালিয়ে যায়। আমরা গাছটি সরকারি হেফাজতে নিয়েছি এবং এরসঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের ধরার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।