ত্রিপুরা থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে
মাছুম বিল্লাহ: প্রতিবেশী ভারত থেকে আগামী জুনে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পর আরও ৫০০ মেগাওয়াট আমদানি করতে এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট।
দেশের পূর্বাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ভারতের ত্রিপুরা থেকে এই বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ জন্য ত্রিপুরার সূর্যমণিনগর থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
১ হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের নাম ‘সূর্যমণিনগর (ত্রিপুরা, ভারত) থেকে কুমিল্লা উত্তরে (বাংলাদেশ) বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কুমিল্লা উত্তরে ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ’। প্রকল্প ব্যয়ের ২৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে, ১ হাজার ১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আসবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ থেকে। বাকি ৬৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।
এ প্রসঙ্গে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার দীপায়ন ভদ্র বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ত্রিপুরা ও আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় বিবেচনায় প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সেক্টরে ভারত-বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জে ডব্লিউ জি) ১২তম বৈঠক ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সূর্যমণিনগর থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কুমিল্লা দিয়ে সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১২তম জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (জেটিটি) সম্ভাব্যতা জরিপ করে একটি ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে জেডবি�উজি’র বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটির প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় বিভিন্ন সুপারিশ প্রতিপালন করে পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) গত ২ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়। এরপর ৮ মে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পের সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেন। বর্তমানে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। সম্পাদনা: আনিস রহমান