১০ মাসে কৃষিঋণ বিতরণ ১৮ হাজার কোটি টাকা
জাফর আহমদ: চলতি অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে(জুলাই-এপ্রিল) কৃষিঋণ বিতরন হয়েছে ১৭ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ কম। গতবছর বিতরণ হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমে আসার কারণে মোট কৃষিঋণ বিতরণে এই হার কমেছে।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ১০ মাসে বিতরণ হয়েছে ১৭ হাজার ৯৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৮৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গতবছর রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছিল লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছিল লক্ষ্যমাত্রার ১১১ শতাংশ। গতবছর মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছিল লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ১৭ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছর কৃষিঋণ বিতরণ কিছুটা কমলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেনি, এখনো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আছে। তবে গতবছরের চেয়ে কিছুটা কমেছে। বছরের আগামী দুই মাসে বিতরণ বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বেসরকারি কিছু ব্যাংক ঋণ বিতরণ কম করেছে। দুটি ব্যাংক কোন কৃষিঋণই বিতরন করেনি। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও সীমান্ত ব্যাংক কোন ঋণই বিতরণ করেনি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ঋণ বিতরন করা ব্যাংক ও ঋণ বিতরণের হার হলো- ফার্ষ্ট সিকিউরটি ইসলামী ব্যাংক বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৩৫ শতাংশ; এবি ব্যাংক বিতরন করেছে ৩৬ শতাংশ; মেঘনা ব্যাংক বিতরন করেছে ৩১ শতাংশ; মধুমতি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৮ শতাংশ; এনসিসি ব্যাংক বিতরন করেছে ৩০ শতাংশ; এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ২৩ শতাংশ; সাউথ-বাংলা এগ্রিকালসার ব্যাংক ৩১ শতাংশ; ইউনিয়ন ব্যাংক ২৭ শতাংশ এবং ফারমার্স ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১ শতাংশ বিতরন করেছে ।