বাজেটে সরকারি চাকুরেদের ১৫ শতাংশ বেতন বাড়ছে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট আসছে। এই বাজেটে সব শ্রেণির মানুষকে খুশি করার পরিকল্পনা নিয়ে বাজেট প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভোটারদের মন পেতে যেমনই গ্রামমুখী উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে, তেমনই সরকারি চাকুরেদেরও খুশি করতে চায় ক্ষসতাসীনরা।
আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পরই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। তা নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি চাকরিজীবীদের খুশি রাখতে আগামী বাজেটেই ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বলেছেন, এবার বাজেটে সবার জন্য সুখবর থাকতে হবে। সরকারি চাকুরেদের বিষয়টি মাথায় রাখার কথা বলেন মন্ত্রীরা।
এই সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি চাকুরেদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দিয়ে বেতন বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বাড়ানোটা অসম্ভব।
সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বশেষ অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এতে প্রতিবছর সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ ভাগ হারে ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। ২০১৭ সালের মার্চে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষণা দেন, এখন থেকে আর কোনো নতুন পে-কমিশন ঘোষণা করা হবে না। প্রতি বছর মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি চাকুরেদের বেতন সমন্বয় করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি করে দেয়া হবে। ২০১৭ সালের ৯ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই কমিটির গঠন করা হয়।
৯ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার)।
অর্থ বিভাগ বলছে, এখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যস্ফীতির ওপর ভিত্তি করে সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর মতো অবকাঠামো গড়ে উঠেনি। তাই তারা ডিএ (ডেইলি এলাউন্স) হিসেবে মূল বেতননের ১০ বা ১৫ শতাংশ বাড়ানো পক্ষে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ড. এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকারকে সবদিক বিবেচনা করে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের এভাবে বেতন বাড়ালে বেসরকারি খাত থেকেও বেতন বাড়ার দাবি আসবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের জন্য বেতন না বাড়ালে সমাজে একটা বৈষম্যের সৃষ্টি হবে।