সংকট কাটাতে দিনে দেড় কোটি ডলার রিজার্ভ বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
জাফর আহমদ: আমদানি ব্যয় নির্বাহ করতে যে পরিমান ডলারের প্রয়োজন হচ্ছে সে পরিমান ডলার রপ্তানি আয় বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে দেশে আসছে না। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক বাণিজ্য নির্বাহ করতে ডলার কেনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাচ্ছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে গেছে। এই প্রতিযোগিতা সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মাসে ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করছে। আর এতে টান পড়ছে রিজার্ভে।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০ দশমিক ৪৯৭ বিলিয়ন ডলার। এ রপ্তানি আয়ের ২৪ দশমিক ৫২৭ বিলিয়ন ডলার তৈরি পোশাক। সাড়ে ২৪ বিলিয়ন রপ্তানি আয়ের প্রায় অর্ধেক চলে যাচ্ছে এই তৈরি পোশাকের বিভিন্ন রকমের কাঁচামাল আমদানি করতে। একই সময়ে আমদানি ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারর। গত বছর একই সময়ে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৩৭ দশমিক ৩৭৩ বিলিয়ন ডলারের। অন্যদিকে গত বছর একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৬৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
আমদানি রপ্তানি তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত বছর থেকে রপ্তানি আয় কমেছে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আমদানি চাহিদা মেটাতে ভিন্ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ডলার কিনছে। এভাবে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। বাজারের এ চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। আর এতে চাপ পড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিচার্ভে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখ্ াগেছে এক মাসের ব্যবধানে এক বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমেছে। অন্যান্য সময়ে আমদানি ব্যয় মিটানোর পর রপ্তানি আয় ও প্রবাসি আয় যোগ হওয়ার পর রিজার্ভে উর্দ্ধগতি থাকে। গত কয়েক মাস ধরে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। সর্বশেষ এক বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করছে। আগামী কয়েক মাস ডলারের এমন চাহিদা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।